টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলে দুই সন্তানসহ গৃহবধুকে হত্যাচেষ্টা

স্বামী ও সতীন কর্তৃক টাঙ্গাইলে দুই সন্তানসহ গৃহবধুকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। আহত গৃহবধু এখন শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ টাঙ্গাইলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

টাঙ্গাইল পৌরসভার ১৭ নং ওয়ার্ডের বিশ্বাসবেতকা এলাকার মূর্তিমান এক ত্রাসের নাম হাজি মোর্শেদ। স্ত্রী হত্যা, দুই খুন মামলা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলায় তিনি এখন জেল হাজতে বন্ধি। তার অসংখ্য মামলা এখন বিচারাধীন। এমতাবস্থায় তার নির্দেশে তারই মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী রাফসান (৩০) ও তার কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী নূর আফরিন (১৮), রাফসানের ১ম স্ত্রী তিশা (২৯) কে দুই সন্তানসহ মেরে ফেলার চেষ্টা করেন।

রাফসান মোর্শেদের ক্যাডার বাহিনীর অন্যতম শীর্ষ স্থানীয় সন্ত্রাসী। তিনি দীর্ঘ দিন যাবত ইয়াবা সেবন এবং বিক্রয় করেন বলে জানা যায়। সাব্বির আল মামুন রাফসান মোর্শেদের সাথে ঘণিষ্ঠ হয়ে বিভিন্ন অপরাধের সাথে যুক্ত হওয়ার কারনে ১ম স্ত্রী তিশা সবসময় প্রতিবাদ করে আসছিলেন। যার ফলে তিশা মোর্শেদের চোখে শত্রু হয়ে উঠেন।ক্যাডার মোর্শেদ এর পাপের সাম্রাজ্য ধ্বংসের মাধ্যমে নিজের সংসার বাঁচানোর জন্য তিশা মরিয়া হয়ে উঠেন।

অপরদিকে মোর্শেদ তিশা ঘরে থাকা স্বত্ত্বেও রাফসানকে নূর আফরিন নামের একটি মেয়ের সাথে এক বছর আগে বিয়ে দেন। তিশা নিজের শক্ত অবস্থানে থাকার কারনে রাফসান কিংবা নূর আফরিন কিছুতেই বিচলিত করতে পারছিল না। টাঙ্গাইলের শক্ত প্রশাসনের সহযোগিতায় মোর্শেদ এখন জেল হাজতে রয়েছেন এমতাবস্থায় তিশাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি এবং মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমেও থ্রেট করে আসছিলেন নূর আফরিন। গতকাল আকস্মিকভাবে রাফসান ও নূর আফরিনের সাথে শাশুড়ি, ননদ সহ আরও বেশ কয়েকজন মিলে অতির্কত হামলা করে তিশা ও তিশার দুই অবুঝ সন্তানের উপর। তাদের উপর হাতুর, চাপাতি, রামদা, লাঠি, হক স্টিক নিয়ে উপুর্যপরী আঘাত করে।

এমতাবস্থায় শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত প্রাপ্ত হোন। দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে প্রানে বাঁচেন তিশা। আইনের সহায়তা নেন।

তিশা ও রাফসানের বিয়ে হয়েছিল ১১ বছর আগে। তাদের দুটি সন্তান। ছেলের নাম ওমর ফারুক (১০), মেয়ের নাম ফাতিমা তুজ জোহরা (৫)। দুই সন্তানকে নিয়ে তিশা কোথায় আশ্রয় নিবেন এখনো তিনি জানেন না। হাসপাতালের বেডে শুয়ে তিশা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য অনুরোধ করেন। দুই সন্তান নিয়ে তিনি তার স্বামির ভিটায় থাকতে চান। শিশু ওমর ফারুক কান্না জড়িত কণ্ঠে তাদেরকে মারধরের কথা বলেন। ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও শিশু দুটি এখনো আতঙ্কগ্রস্ত। অল্প কোন কিছুতেই ভয় পেয়ে আৎকে উঠছেন। ওমর ফারুক বলেন “আমি আমাদের বাসাতেই থাকতে চাই।”

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker