টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের যমুনা তীরবর্তী এলাকায় অবৈধ বালুর ঘাট দখল নেয়াকে কেন্দ্র করে আ’লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে।
বুধবার দুপুরে বালুর ঘাটের রাস্তা নির্মাণ ও দখলকে কেন্দ্র করে আ’লীগের দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ছয় জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের পুনর্বাসন এলাকার হযরত আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম(৩৯), পলশিয়া গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে শাহ আলম (৩০), আমজাদ হোসেনের ছেলে শফিকুল (৩৫), নামদার আলীর ছেলে হোসেন আলী(৫৫), আব্দুল লতিফের ছেলে সবুজ (১৮), ইয়াসিনের ছেলে ইয়ামিন (৩৮)।
জানা যায়, ভূঞাপুর উপজেলার যমুনা তীরবর্তী এলাকায় শুষ্ক মৌসুমে যমুনা নদী শুকিয়ে চর জেগে উঠলে শুরু হয় নদীর পাড় কেটে বালু বিক্রির মহাৎসব। শুধু মাত্র যমুনা তীরবর্তী নিকরাইল এলাকায় রয়েছে প্রায় ২০টি অবৈধ বালুর ঘাট। এসব বালুঘাটের বালু ট্রাকযোগে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌছে দেওয়া হয়।
বুধবার দুপুরে উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল হক মাসুদ এবং সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মতিন সরকারের লোকজনের সাথে বালুর ঘাটের রাস্তা নির্মাণ ও দখলকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নিকরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন সরকার জানান, চেয়ারম্যান মাসুদুল হক মাসুদ ও নুহু মেম্বারের লোকজন বালুর ঘাট দখল করে মাটি তোলার যন্ত্র (ভেকু) ও ক্যাশ কাউন্টার ভাঙচুর করে লুটপাট করে। এসময় তারা ককটেল ও গুলি ছোড়ে। এতে ৮ জন আহত হয়েছেন।
নিকরাইল ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাসুদুল হক মাসুদ জানান, ‘ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির লোকজন অন্যদের জমি দখল করে ঘাট তৈরি করছিল। এসময় বাঁধা দিতে গেলে তারা আক্রমণ চালায়। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আব্দুল ওহাব জানান, বালুর ঘাট দখল নেয়াকে কেন্দ্র করে সাবেক চেয়ারম্যান ও নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের লোকজনের সাথে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৭ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।