নতুন নেতৃত্ব পেল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। আগামী দুই বছরের জন্য সভাপতি হিসেবে ইলিয়াস কাঞ্চন, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জায়েদ খান নির্বাচিত হয়েছেন। শনিবার (২৯ জানুয়ারি) ভোর পৌনে ৬টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুন।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এই নির্বাচনের বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুলেছেন আলোচিত হিরো আলম। তিনি বলেন, ‘শুক্রবারের নির্বাচন খুবই দুঃখজনক। আমাদের চলচ্চিত্রের জন্য এটা লজ্জাজনক। কেননা, নির্বাচনে আমাদের পরিচালক-প্রযোজক কেউ ঢুকতে পারেনি। এজন্য নির্বাচন খুবই দুঃখজনক বলে মনে করি আমি।’
হিরো আলম জানান, ‘আমি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ভোটার না। তবে প্রযোজক সমিতির সদস্য। যেহেতু চলচ্চিত্রের সঙ্গে পাঁচ বছর ধরে আছি, এ কারণে এখানে একটা মায়া জন্মেছে। আর গত শুক্রবারের নির্বাচনে এসেছিলাম সবার সঙ্গে দেখা হবে এই ভেবে। যারা সিনেমাপ্রেমী লোক তারা কিন্তু এদিন ঘরে বসে থাকতে পারবে না। এফডিসিতে যেহেতু নির্বাচন, তাই একজন প্রযোজক হিসেবে এখানে এসেছিলাম।
নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এরকম কোনো নির্বাচন হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। আমার জন্মের পর এমন নির্বাচন আমি দেখিনি। কালকে মনে হয়েছে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন করেছি আমরা। মানুষের মাঝে যে রকম আনন্দ-উৎসব ছিল, চারদিকে একটা কলরব ছিল।’
হিরো আলমের ভাষ্য, ‘নির্বাচনের ৩৬৫টি ভোট গুণতে সারা রাত লেগেছে। এটা আমার কাছে খুবই খারাপ লেগেছে। যে জায়গায় জাতীয় নির্বাচনে ১৮ কোটি ভোট এক রাতে গুণে, সেখানে ৩৬৫ ভোট গুণতে সারা রাত লেগেছে। এটা সন্দেহজনক। এই কয়টা ভোট গুণতে সারা রাত লাগবে কেন?’
যারা জয়ী হয়েছেন তাদের উদ্দেশ্যে হিরো আলম বলেন, ‘ভোট শেষ হয়েছে। এখন শিল্পীরা আমরা ভাই ভাই। রাগ অভিমান ভুলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সিনেমা কীভাবে তৈরি করা যায় সেই ব্যাপারে আলোচনা করতে পারি। ভোট আজ আছে তো কাল নেই। আমাদের অনেক দূর যেতে হবে সিনেমাকে নিয়ে। আমাদের সবাইকে মিলেমিশে সিনেমায় কাজ করতে হবে। তাই সব ভুলে কাজ করতে হবে। যারা জয়ী হননি তাদের সব ভুলে যারা জয়ী হয়েছেন তাদের সাহায্য করতে হবে।’
গেলো শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন দেখতে যান হিরো আলম। এ সময় সাধারণ দর্শকদের নজরে পড়েন তিনি। এক পর্যায়ে সে ফটোশুটে আটকা পড়েন। দর্শকদের ফটোশুটের কারণে তিনি আহত হন। এ সময় ভক্তদের ভিড় থেকে হিরো আলমকে রক্ষা করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাকে উদ্ধার করে।
হিরো আলম অভিযোগ করে বলেছেন, এফডিসিতে আমার ওপর হামলা হয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র এফডিসি এলাকা থেকে পুলিশ আমাকে বের করে দিয়েছে।
