চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোট দিতে এসেছেন অভিনেতা আলমগীর। ‘ভোট সুষ্ঠু হয়েছে, শান্তিপূর্ণ হয়েছে’, মন্তব্য করেছেন অভিনেতা। ভোট শেষে মান্না কালার ল্যাবের সামনে কথা হয় বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় এই অভিনেতার সঙ্গে।
সম্প্রতি জায়েদ খানের বিরুদ্ধে মামলার হুমকি দিয়েছিলেন আলমগীর।
এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করতেই তিনি বলেন, ‘সেটা কথা প্রসঙ্গে এসেছে। মামলা তো আর সত্যি সত্যি করব না। নির্বাচনের পূর্বে অনেক বিপরীতমুখী কথা হয়, কিন্তু নির্বাচনের পরে আমরা সকলেই এক।’
এর আগে ২৫ জানুয়ারি রাজধানীর একটি কনভেনশন সেন্টারে ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল পরিচিতি অনুষ্ঠান হয়। তাঁদের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় এ অভিনেতাও। সেখানকার আলোচনায় উঠে আসে ভোটাধিকার হারানো ১৮৪ জন শিল্পীর প্রসঙ্গ। এই শিল্পীদের সদস্য থেকে সহযোগী সদস্য বানানোর প্রক্রিয়ায় অভিনেতা আলমগীরের স্বাক্ষর ছিল বলে প্রচারিত হয়। অনুষ্ঠানের মঞ্চে উঠে বিষয়টি নিয়ে মিশা-জায়েদকে চ্যালেঞ্জ করে আলমগীর বলেছিলেন, ‘১৮৪ ভোটার বাতিলের বিষয়টা আমাকে দেখাও। সেখানে আমার স্বাক্ষর আছে, আমি জড়িত আছি—এটা প্রমাণ করতে পারলে কথা দিলাম, আমি তোমাদের প্যানেলকে ভোট দেব। আর যদি প্রমাণ না দিতে পারো তবে আমি তোমাদের নামে আইনি ব্যবস্থা নেব। ফারুক ভাই, সোহেল রানা ভাই, উজ্জ্বল ভাই যদি আমার সঙ্গে নাও আসেন, আমি একাই তোমাদের নামে ফৌজদারি মামলা করব।’
আজকের নির্বাচনে বিএফডিসির ১৭ সংগঠনের সদস্যদের প্রবেশাধিকার সীমিত করা হয়েছে। পরিচালক সমিতি ইতোমধ্যে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে আলমগীরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমিও তো একজন পরিচালক আমাকেও তো তাহলে তাদের সঙ্গে থাকতে হবে। তবে যেখানে কর্মই নেই সেখানে কর্মবিরতি হয় কীভাবে?’