কালিয়াকৈরে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তবে নিহতের বাবার দাবি যৌতুকের কারনেই তার মেয়েকে হত্যাকরে আত্মাহত্যা বলে চালিয়ে দেবার অভিযোগ করেছেন।
এদিকে এটা হত্যা না আত্মহত্যা সেটা যাচাই করার জন্য নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ। গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌরসভার বক্তারপুর এলাকায় বুধবার সকালে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূ হলেন কালিয়াকৈর উপজেলার বক্তারপুর এলাকার কামরুল হাসানের স্ত্রী রুপা আক্তার(২৩)।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় ৮ মাস পূর্বে কামরুলের সাথে মৌচাক কলাবাধা এলাকার রসূল উদ্দিনের মেয়ে রুপার সাথে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকেই কামরুল এবং তার স্ত্রী রুপার সাথে বিভিন্ন পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া কলহ লেগে থাকত।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (১২ জানুয়ারি) সকালে স্বামী কামরুলের সাথে অভিমানে রুপা গলায় নিজের পরনের উরনা দিয়ে ঘরের ধরনার সাথে ফাঁসিতে ঝুলে থাকে। রুপার শ্বশুরবাড়ির লোকজন ঘরের দরজা দীর্ঘক্ষন বন্ধ থাকায় ঘরের দরজা ভেঙে রুপাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন।
সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক রুপাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ দিকে নিহতের পরিবার জানান, বিয়ের সময়ে বেশ মোটা অংকের টাকা যৌতুক দিয়েছেন তার পরেও আরো টাকার জন্য মাঝে মধ্যেই রুপা কে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো এবং কি মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে পাষণ্ড স্বামী। তবে মেয়ের সুখের কথা ভেবেই সব কিছু মেনে নিয়েছিলেন নিহতের পরিবার। নিহতের বাবার দাবি যৌতুকের কারনেই তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা রসূল উদ্দিন বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ঘটনায় কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান বলেন, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।