টাঙ্গাইলের সখীপুরে এক নারী গ্রাম পুলিশকে (মহল্লাদার) শ্লীলতাহানির অভিযোগে ইউপি সচিবকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) চিত্রা শিকারী এ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় উপজেলার কালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোশারফ হোসেনকে (৪২) এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ওই নারী ও আদালত সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে পরিষদটি একদমই ফাঁকা ছিলো। আশ পাশে কেউ ছিল না। পাশের রুমে ওই নারী গ্রাম পুলিশ (১৮) একা বসা ছিলো। পরে সচিব মোশারফ হোসেন তাকে ডেকে ভবনের ২য় তলায় একটি কক্ষ ঝাড়ু দিতে পাঠায়। মোশারফ ওই কক্ষে গিয়ে তাকে জোরপূর্বক শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে ওই নারী চিৎকার করলে এক মহিলা ইউপি সদস্য তাকে উদ্ধার করে। পরে লোকজন ঘটনাস্থলে এসে সচিব মোশারফকে আটক করে। পরে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করলে আদালত এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানায়, সচিব মোশারফ হোসেন এর আগে উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নে থাকা অবস্থায় অসচ্ছল ও গরিব নারীদের সরকারি বিভিন্ন সুবিধা দেওয়ার কথা বলে একাধিক নারীর সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। পরিষদে ভবনে বিভিন্ন সময় তিনি আপত্তিকর অবস্থায় ধরাও পড়েছেন। অন্যদিকে ওই সচিবের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে জাল জন্মনিবন্ধন করে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।এজন্য অভিযোগের সত্যতার ভিত্তিতে তাকে এ সাজা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চিত্রা শিকারী বলেন, নারী মহল্লাদারকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে কালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোশারফ হোসেনকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।