কালিয়াকৈরে দিবালোক প্রকাশ্যে মামলা তদন্ত করতে আসা পুলিশ কর্মকর্তাদের সামনে তানিয়া বেগম(৩২) নামের এক গৃহবধূ কে বেদরক মারধোর করেছে তার স্বামী মাইনুদ্দিন (৪৫)।
মঙ্গলবার বিকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ডাইনকিনি এলাকায় বাছেদ হোসেনের বাড়িতে ভাড়াটিয়া তানিয়া বেগমের স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক ও মাইনুদ্দিনের প্রথম স্ত্রী ও তিন সন্তান মিলে মারধোর করে এমন অভিযোগ এনে কালিয়াকৈর থানায় মামলা করে। পরে অভিযোগের তদন্ত করতে গেলে পুলিশ কর্মকর্তাদের সামনেই অভিযুক্ত পাষন্ড স্বামী মাইনুদ্দিন।
অভিযুক্ত মাইনুদ্দিন টাঙ্গাইলের সদর থানার মৈশাকান্দা গ্রামের মৃত কাবেল চাকলাদারের ছেলে।
ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবারে ভুক্তভোগী ঐ নাড়ি তার স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুকের জন্য মারধোরের অভিযোগ এনে কালিয়াকৈর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
পরে সেই মামলার তদন্ত করতে আসে এসআই হাফিজ উদ্দিন ও এসআই মাহবুব। এসময় পুলিশের সামনেই মাইনুদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে তার স্ত্রীকে জনসম্মুখে রাস্তায় ফেলে বেদরক মারধোর করে। এতে এলাকাবাসীরা ও ভুক্তভোগী ঐ নাড়ি অসন্তোষ প্রকাশ করে।
এর আগে চেক জালিয়াতির মামলায় ৪২ দিন কারাভোগ শেষে মঙ্গলবার বার সকালে জামিনে মুক্তি পায় মাইনুদ্দিন। মুক্তি পেয়ে বাসায় এসেই মারধরের ঘটনা ঘটায়।
উল্লেখ্য ১৫ বছর আগে মাইনুদ্দির সাথে তানিয়া বেগমের প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তানিয়া বেগম জানতে পারেন তার আরেকটি স্ত্রী আছে এবং সেই ঘরে ২টি সন্তান আছে। তবুও সুখের আসায় সব কিছু মেনে নিয়ে ঘর সংসার করতে থাকে। কিন্তু কিছুদিন যাবার পর মাইনুদ্দিন যৌতুকের দাবিতে সব সময় মারধোর করে। এসব জ্বালা যন্ত্রণা উপেক্ষা করেই ১৫ বছর পার করছে। বর্তমানে তার ঘরে একটি ১৪ বছরের ছেলে সন্তান আছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নাড়ি জানান, বিয়ের পর থেকেই তাকে নানা ভাবে নির্যাতন করে আসছে। এমন কি তার স্ত্রী সন্তান এর আগেও অনেক বার মারধোর করেছেন। এছাড়া তিনি নানা অপরাধের সাথে জরিত মাদক, জুয়া সহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত বলে জানান। এখন তিনি এই মারধরের ঘটনায় জীবন হানীর আতঙ্কে ভুগছেন।
ঐ নাড়ি আরো জানান, গত দুই মাস আগে মানুষের টাকা আত্মসাৎ করে চেক জালিয়াতির মামলায় ৪২ দিন কারাভোগ শেষে আজকে জামিনে এসেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এখন পুলিশের সামনেই যদি নির্যাতন করে তাহলে আড়ালে কি না কি ঘটাবে এ নিয়ে জীবন সংকায় আছেন। এ ঘটনায় পুলিশের এমন উদাসীন অপারগতা কারণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভুক্তভোগী নাড়ি ও এলাকাবাসী।
এ ঘটনায় কালিয়াকৈর থানার এসআই হাফিজ জানান, আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে এসআই মাহবুবকে পাই। মারামারি ঘটনা তার সামনেই হয়েছে, তবে সেখানে আমি ছিলাম না