ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্সে হট্টগোল ও হামলা: ছিনতাই-সহিংসতায় উত্তপ্ত ব্যবসায়ী মহল

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিতে কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক চলাকালীন নজিরবিহীন হট্টগোল, হামলা ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে শহরের মসজিদ রোডে চেম্বার ভবনে এই ঘটনা ঘটে, যা স্থানীয় ব্যবসায়ী মহলে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিতে কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক চলাকালীন সংঘটিত হয়েছে নজিরবিহীন হট্টগোল, হামলা ও ছিনতাইয়ের ঘটনা। **সোমবার (৩০ জুন)** দুপুরে শহরের মসজিদ রোডে চেম্বার ভবনে এ ঘটনা ঘটে, যা স্থানীয় ব্যবসায়ী মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

চেম্বারের দায়িত্বশীল সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, এদিন একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক চলছিল যেখানে এফবিসিসিআই নির্বাচনের ছয়জন প্রতিনিধি নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। হঠাৎ করেই চেম্বারের সদস্য পরিচয়ধারী **কাজল মিয়াসহ** একদল ব্যক্তি সভাকক্ষে প্রবেশ করে সভা বাতিলের দাবি তোলে। তাদের বাধা দেওয়ায় শুরু হয় বাকবিতণ্ডা ও পরবর্তীতে তা রূপ নেয় শারীরিক সহিংসতায়।

চেম্বারের সচিব **আজিম উদ্দিন** ও হিসাবরক্ষক **জাহাঙ্গীর আলম** জানান, হামলাকারীরা তাদের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। আজিম উদ্দিনের অফিস ড্রয়ার থেকে দুটি মোবাইল ফোন ও ১০ হাজার টাকা, এবং জাহাঙ্গীর আলমের পকেট থেকে ২২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। অভিযুক্তরা চেম্বারের একটি কম্পিউটার থেকে গুরুত্বপূর্ণ এসএসডি কার্ডও জোর করে নিয়ে যায় বলে দাবি করেন তারা।

এছাড়াও একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সভাপতি **আজিজুল হক** ও অন্যান্য সদস্যরা সভায় বসে আছেন, এমন সময় কিছু বহিরাগত সদস্য রেজুলেশন খাতা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে অন্যান্য সদস্যদের বাধায় তা তারা করতে পারেননি।

Image

তবে চেম্বার সভাপতি **আজিজুল হক** বলেন, “এটি পরিকল্পিত হামলা। সভা বানচাল করতেই তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।” অপরদিকে অভিযুক্ত সদস্য **কাজল মিয়া** পাল্টা অভিযোগ তুলে বলেন, “বর্তমান কমিটি অবৈধ। তারা চেম্বারে দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও লেনদেনে জড়িত। তাই আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছি।”

এ ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) **মো. মোজাফফর হোসেন** বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। কিছু কথাকাটাকাটি হয়েছে, তবে এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।”

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, “একটি ব্যবসায়ী সংগঠনের ভেতরেই যদি এমন সহিংসতা ঘটে, তাহলে সাধারণ ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা কোথায়? চেম্বারের ভাবমূর্তির পাশাপাশি জেলার সামগ্রিক ব্যবসা পরিবেশ এই ঘটনার ফলে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।”

Author

মো: মেহেদী হাসান, ব্রাহ্মনবাড়িয়া প্রতিনিধি

পেশায় একজন সাংবাদিক। তিনি ৩০ জুন থেকে মিশন ৯০ নিউজে ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি হিসেবে, সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker