টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে সুমাইয়া আক্তার (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রী প্রেমিকাকে গলা কেটে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করা প্রেমিক মনির (১৭) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মনিরের খালা রোজিনা বেগম এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। এসময় তিনি বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মনিরের মৃত্যু হয়। মনিরের লাশ এখন মর্গে নেওয়া হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে লাশ বাড়িতে নেয়া হবে।’
আরো পড়ুন: কালিহাতীতে কিশোরীকে জবাই করে হত্যার ঘটনার মূল সন্দেহভাজন আহত মনির আটক
এর আগে বুধবার (২৮ অক্টোবর) সকালে কোচিংয়ে যাওয়ার পথে সুমাইয়াকে উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার শামসুল হক কলেজের সামনের একটি নির্মাণাধীন ভবনের নিচতলায় ডেকে নিয়ে মনির তাকে গলা কেটে হত্যা করে। এরপর মনির নিজেই আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ওই স্কুলছাত্রীর পাশেই রক্তাক্ত অবস্থায় মনির পড়ে থাকায় বিষয়টি অন্যদিকে মোড় নেয়। দিন শেষে টাঙ্গাইলের র্যাব সদস্যরা বিষয়টির রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হন। এরপর থেকে মনির হাসপাতালে র্যাব হেফাজতে চিকিৎসাধীন ছিল।
আরো পড়ুন: সিঁড়ির নিচে কিশোরীর জবাই করা মরদেহ, পাশেই রক্তাক্ত কিশোর
অভিযুক্ত প্রেমিক বাস হেলপার মনির উপজেলার মশাজান গ্রামের মেহের আলীর ছেলে। নিহত সুমাইয়া আক্তার উপজেলার পালিমা গ্রামের ফেরদৌসের মেয়ে। সে এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। তারা এলেঙ্গা কলেজ মোড় এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিল।