যশোরের শার্শায় চুরির অভিযোগে গাছের সাথে ঝুলিয়ে অমানবিক নির্যাতন, ৭ জন আটক
যশোরের শার্শায় বাইসাইকেল চুরির অপরাধে রাকিবুল ইসলাম বিপ্লব (৪২) নামে এক ব্যক্তিকে রশি দিয়ে গাছের সাথে ঝুলিয়ে অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে আটক করেছে।
যশোরের শার্শায় বাইসাইকেল চুরি করার অপরাধে রাকিবুল ইসলাম বিপ্লব (৪২) নামে এক ব্যক্তিকে রশি দিয়ে বেঁধে গাছের সাথে ঝুলিয়ে অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। নির্যাতনের শিকার ঐ যুবক বেনাপোল রেল স্টেশন এলাকার মৃত হারুন শেখের ছেলে। তার পেশা চুরি করা বলে জানা গেছে। শনিবার বিকালে শার্শা উপজেলার নাভারন বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে প্রশাসনের নজরে আসে। পুলিশ আহত ব্যক্তিকে আজ দুপুরে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। থানায় একটি মামলা হয়েছে এবং পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৭ জনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
নির্যাতনের শিকার রাকিবুল ইসলাম বিপ্লব জানান:
“শনিবার বিকালে শার্শা থানাধীন নাভারণ বাজারে শাওন জুয়েলার্স-এর নির্মাণাধীন ভবনের নিচতলা হতে সাইকেল চুরি করার চেষ্টা কালে সকল আসামীরা ও অজ্ঞাতনামা আসামীরা বে-আইনিভাবে লাঠি-সোটা নিয়ে আসামী জাহিদুল ইসলাম-এর নেতৃত্বে আমাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি লাথি মেরে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা-ফুলা জখম করে। আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আসামী জাহিদুল ইসলাম তার হাতে থাকা লোহার হুক দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করে আঘাত করলে উক্ত আঘাত আমার ডান পাশের পাঁজর এ লেগে গুরুতর জখম হয়। তখন আসামী জাহিদুল ইসলাম আমার হাত-পা বেঁধে গাছের সাথে আমাকে ঝুলিয়ে এলোপাতাড়ি লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। আমার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে আমাকে রক্ষা করলে আমি সু-কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে যাই।”
শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ কেএম রবিউল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান:
“আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৭ জনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে এবং বাকি আসামীদের আটক করার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”