সুনামগঞ্জ

মানুষের জীবন বিপন্ন করে কেনো কথা বলতে হবে, এই শিক্ষা কে দিয়েছে ডাক্তারদের?:সেনা কর্মকর্তা

সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন এবং সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধকে কেন্দ্র করে রবিবার দুপুরেএক উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। যানজটে আটকে পড়ে সাধারণ মানুষ ও অ্যাম্বুলেন্স। এই অবস্থায় সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করলে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে ওঠে। অবশেষে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর সেনাবাহিনীর কঠোর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

সোমবার দুপুরে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জনের পাশাপাশি সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করছিলেন। এ সময় সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়, যাত্রীদের মধ্যে চরম ভোগান্তি দেখা দেয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সেনাবাহিনী শিক্ষার্থীদের সড়ক ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু তখন উত্তেজনা চরমে পৌঁছায় এবং একপর্যায়ে সেনাবাহিনী লাঠিপেটা শুরু করে।

ঘণ্টাখানেকেরও বেশি সময় ধরে চলা এই উত্তেজনার মধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন বলে অভিযোগ ওঠে।  সেনাবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত মেজর ঘটনাস্থলে শিক্ষক ও মিডিয়ার সামনে কথা বলেন। তিনি বলেন, “লোকজন, অ্যাম্বুলেন্স এগুলো আটকিয়ে মানুষের জীবন বিপন্ন করে কথা কেন বলতে হবে? এই শিক্ষা কে দিয়েছে ডাক্তারদেরকে আমি তো বুঝলাম না।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা এটার সর্বোচ্চ জুডিশিয়াল প্রয়োগটাই করছি এবং এটা করতে তখন বাধ্য হব। এখনো যথেষ্ট পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে একটা ছেলেকে গ্রেফতার করার মত। কারণ সে তো রাষ্ট্রবিরোধী কাজ করছে। আমি বলব কারণ রাষ্ট্রের যত রকম কার্যক্রম সে বন্ধ করে দিচ্ছে।”

সেনা কর্মকর্তা বলেন, “এই যে সব পুরা মিডিয়া আছে, এদের সামনে কিন্তু আপনাদেরকে ব্যর্থ প্রশাসক মনে করা হবে। আমি সেটা চাই না। সবাই আপনারা টিচার, আমাদের শ্রদ্ধার পাত্র। আপনারা কি পারবেন একটু ট্যাকেল দিতে?”

তিনি বলেন, “ একটা মেয়েকে কেন রাস্তার সামনে দাঁড় করাতে হবে? আমি আমার দাবি আদায় করতে চাইলে আমি ছেলে আসবো। মেয়েকে কেন আমি এখন রাস্তার ওখানে দাঁড় করাব? সে তো ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেলে তার দায় দায়িত্ব কে নিবে? ছেলে হিসেবে তার দায়িত্ব তার বোনকে প্রটেক্ট করা।”

সেনা কর্মকর্তা বলেন, “গতকাল দাঁড়িয়েছিল তারা। তখন সেনাবাহিনী এসেছিল? আমরা দূর থেকে দেখেছি। কারণ শান্তিপূর্ণ ছিলো। রাস্তার দুই পাশে দাঁড়াও। মিডিয়ার সাথে কথা বলতে চাইলে মিডিয়ার সাথে কথা বলবে। এখানে সকল মিডিয়ার ভাইরা আছে।” তিনি আরও বলেন, “আমি যে এখন কথা বলছি মিডিয়া এটেনশন পাচ্ছে না? তাহলে ওরা এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলতে কি সমস্যা?”

সেনা কর্মকর্তা বলেন, “আমি চাই এরপর থেকে যদি ওরা এরকম রাস্তার সামনে আসতে চায়, আপনারা আপনাদের প্রোটোকল অনুযায়ী ওদের সামনে থাকবেন। আমি দেখতে চাই তারা তাদের প্রফেসরদেরকে ক্রস করে রাস্তার উপর যাচ্ছে , এই আমার মনে হয় না। এই ধরনের উদ্ধত্য, এ ধরনের বেয়াদবি করার মত ছেলে আমাদের মেডিকেল কলেজের ছেলেরা না।”

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker