দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩১.৩১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত, ২৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ
অর্থপাচার নিয়ন্ত্রণে সাফল্য এবং রেমিট্যান্স ও বৈদেশিক ঋণ বৃদ্ধিই মূল কারণ
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ ৩১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা গত ২৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। সর্বশেষ ২০২৩ সালের মার্চের শুরুতে রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছিল। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ীও রিজার্ভ বৃদ্ধি পেয়ে ২৬ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার হয়েছে, যা এই পদ্ধতিতে রেকর্ড সর্বোচ্চ।
রিজার্ভ বৃদ্ধির নেপথ্যে
রিজার্ভ বৃদ্ধির মূল কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা অর্থপাচারের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণকে দায়ী করেছেন। এই কঠোরতার ফলেই চলতি অর্থবছরের মাত্র দুই দিন বাকি থাকতেই দেশের রেমিট্যান্স প্রথমবারের মতো ৩০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে।
এছাড়াও, আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, এডিবিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উৎস থেকে সরকার প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারের মতো ঋণ পাওয়ায় রিজার্ভ বৃদ্ধিতে তা সহায়ক হয়েছে।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও বর্তমান অবস্থান
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে গ্রস রিজার্ভের পাশাপাশি আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম৬ (BPM6) অনুযায়ী রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ শুরু হয়। ২০২৩ সালের জুনে আইএমএফের হিসাব পদ্ধতিতে রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার, যেখানে গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার।
এক সময়, ২০২১ সালের আগস্টে দেশের রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছিল। তবে সেখান থেকে ধারাবাহিকভাবে কমে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগে গত জুলাই শেষে তা ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। সেই নিম্নমুখী প্রবণতা থেকে এখন রিজার্ভ আবার বাড়তে শুরু করেছে, যা অর্থনীতির জন্য একটি ইতিবাচক ইঙ্গিত।