চার মিনিটের মাইল: মানব সক্ষমতার এক ঐতিহাসিক বিজয়
১৯৫৪ সালের আগে এটি একটি প্রচলিত ধারণা ছিল যে, মানুষের পক্ষে চার মিনিটে এক মাইল দৌড়ানো অসম্ভব। এই ধারণাকেই ভুল প্রমাণ করে স্যার রজার গিলবার্ট ব্যানিস্টার মানব ইতিহাসের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেন। তিনি যখন ৩ মিনিট ৫৯.৪ সেকেন্ডে এক মাইল দৌড় শেষ করেন, তখন এটি শুধু একটি ক্রীড়া রেকর্ড ছিল না, বরং মানব সক্ষমতার এক মনস্তাত্ত্বিক বাধা ভেঙে ফেলার প্রতীক ছিল।
১৯৫৪ সালের পূর্বে প্রচলিত ধারণা ছিল যে, মানুষের পক্ষে এক মাইল পথ ৪ মিনিটে অতিক্রম করা অসম্ভব। এই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে স্যার রজার গিলবার্ট ব্যানিস্টার (Sir Roger Gilbert Bannister) ১৯৫৪ সালের ৬ই মে ৩ মিনিট ৫৯.৪ সেকেন্ডে এক মাইল দৌড় শেষ করেন। এটি ছিল শুধু একটি রেকর্ড ভাঙা নয়, বরং মানব সক্ষমতার ইতিহাসে এক বিশাল মনস্তাত্ত্বিক বিজয়।
বর্তমানে সাধারণ মানুষও ৪ মিনিটের কম সময়ে ১ কিলোমিটার দৌড়াতে পারে। পেশাদার দৌড়বিদদের জন্য এটি একটি সাধারণ গতি।
- ১০০০ মি. বিশ্বরেকর্ড: কেনিয়ার নোয়াহ নেগেনি ১৯৯৯ সালে ২ মিনিট ১১.৯৫ সেকেন্ডে সম্পন্ন করেন।
- ১৫০০ মি. বিশ্বরেকর্ড (পুরুষ): মরক্কোর হিচাম এল গেরুজ ১৯৯৮ সালের ১৪ জুলাই ৩ মিনিট ২৬.০০ সেকেন্ডে সম্পন্ন করেন।
- ১৫০০ মি. বিশ্বরেকর্ড (মহিলা): কেনিয়ার ফেইথ কিপিয়েগন ৫ জুলাই ২০২৫ তারিখে ৩ মিনিট ৪৮.৬৮ সেকেন্ডে সম্পন্ন করেন।
স্যার রজার ব্যানিস্টার একজন দৌড়বিদের পাশাপাশি একজন সুপরিচিত নিউরোলজিস্টও ছিলেন। তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পেমব্রোক কলেজের মাস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ক্রীড়াক্ষেত্রে তার অবদানের জন্য ১৯৭৫ সালে তাকে ‘নাইটহুড’ উপাধি দেওয়া হয়। ১৯২৯ সালের ২৩শে মার্চ জন্মগ্রহণকারী এই কিংবদন্তি ২০১৮ সালের ৩রা মার্চ পারকিনসন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।