ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, আমাদের মধ্যে ছোটখাটো কিছু মতপার্থক্য রয়েছে। অতীতে ছিলো, এখনও আছে, আগামীতেও থাকবে।
এরপরও বৃহত্তর স্বার্থে মুসলমানদেরকে কুরআন ও সুন্নাহর ছায়াতলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গতকাল শনিবার বিকেলে ঢাকার আশুলিয়ায় কাইচাবাড়ী রোডে বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীস আয়োজিত ‘মুসলিম জীবনে সুন্নাহর গুরুত্ব’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীসের সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন সউদী আরবের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টা শাইখ মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওয়াহিদ আল আরিফী, ঢাকাস্থ সউদী রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসেফ ঈসা আল দুহাইলান, সউদী দূতাবাসের ধর্ম বিষয়ক অ্যাটাশে মুবারক বিন আমেক আল আনাযী।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, মুসলিমদের জন্য সুন্নাহর গুরুত্ব অপরিসীম। এই সুন্নাহ থেকে বিচ্যূত হলে বিদআ’ত আমাদেরকে গ্রাস করে ফেলবে। তাওহীদ ও রিসালাত ইসলামের দুটি মৌলিক নীতিমালা। শিরক জায়গা পেলে তৌহিদ বিদায় নেয় এবং বিদআ’ত জায়গা পেলে সুন্নাত বিদায় নেয়।
মুসলিমদেরকে তৌহিদ ও সুন্নাত দুটিকেই আঁকড়ে ধরতে হবে। ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, শিরকের সাথে কোন আপোষ নেই। ঠিক একইভাবে আমরা বিদাতের সাথেও আপোষ করতে পারি না। এব্যাপারে তিনি সকলকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানান।
ড. খালিদ বলেন, আমাদের অন্তর সংকীর্ণ। নিজের দল, মত ও পথের মানুষ ছাড়া অন্যদেরকে আমরা অন্তরে স্থান দিতে পারি না। তিনি মুসলমানদের অন্তরকে প্রসারিত করার অনুরোধ জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সউদী আরবের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ইসলামি শরিয়তে সুন্নাহর গুরুত্ব ও ব্যাপকতা অত্যধিক। শরিয়তের দ্বিতীয় উৎস হিসেবে মুসলমানদের জীবনে সুন্নাহ বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। সুন্নাতকে সর্বান্তকরণে মেনে নেওয়া ব্যতীত ঈমানদার হওয়া যায় না। মহাসম্মেলনে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, পাকিস্তান হরকাতুল কুরআন ওয়াস সুন্নাহ’র সভাপতি হাফেয আল্লামা
ইঞ্জিনিয়ার ইবতিসাম ইলাহী যহির, বাহরাইনের বিশিষ্ট আলেম শাইখ ফাইয হুসাইন আস সালাহ, ইন্দোনেশিয়ার মুয়ায বিন জাবাল ইসলামিক এডুকেশন ইন্সটিটিউশন এন্ড সেন্টারের পরিচালক শাইখ জোজেন জাইনুল মুরসালিন, নেপালের বিশিষ্ট আলেম শাইখ শামীম আহমাদ নদভী, বিশিষ্ট ইসলামি স্কলার অধ্যাপক ড. সাইফুল্লাহ মাদানী,
রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আলহাজ তমিজ উদ্দীন, মুহাম্মদ তুহিরুল ইসলাম, মোহাম্ম ইসহাক সরকার, শাইখ গোলাম কিবরিয়া নূরী, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ মাদানী, ভারতের বিশিষ্ট বক্তা ব্রাদার রাহুল হুসাইন এবং জমঈয়তে আহলে হাদীস ও জমঈয়তে শুব্বানে আহলে হাদীসের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ দেশবরেণ্য ওলামায়ে কিরাম।