আ. লীগকে নিষিদ্ধের আগে আলোচনার প্রয়োজন ছিল: ডা. শফিকুর রহমান
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়ায় অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণকে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন। একইসাথে তিনি উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের সদিচ্ছা থাকলে দ্রুত ‘জুলাই সনদ’ প্রদানের সম্ভাবনার কথা বলেছেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তা অধিকতর ফলপ্রসূ হতো। তিনি জানান, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে কী ধরনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়, সেই অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি।
রবিবার (১১ মে) ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স কর্তৃক আয়োজিত এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ডা. শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন।
জামায়াত আমির আরও বলেন, “উপদেষ্টা পরিষদ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জামায়াতে ইসলামী তাকে সাধুবাদ জানায়।” অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদিচ্ছা থাকলে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যেই ‘জুলাই সনদ’ প্রদান করা সম্ভব বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে কোনো দল যেন দুষ্কৃতকারীদের আশ্রয় না দেয়, সেই আহ্বান জানিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “রাজনৈতিক ছত্রছায়া ছাড়া অপরাধীরা অপরাধ করার সাহস পায় না। এই ধরনের আশ্রয়-প্রশ্রয় পেয়ে দুষ্কৃতকারীরা দেশের পরিবেশ নষ্ট করছে।”
এছাড়াও, দেশের দরিদ্র জনসাধারণের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, “রাষ্ট্র ধনী-গরিব সকলের দেওয়া করের মাধ্যমেই পরিচালিত হয়। কিন্তু দেশের অধিকাংশ মানুষই জানেন না যে তারা সরকারকে কর দিয়ে দেশ পরিচালনায় ভূমিকা রাখছেন, কারণ তারা নিজেদের অধিকার সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন নন।”