বিএনপি

পদ্মা সেতু হাসিনার শাড়ির আঁচলের টাকায় নয়, জনগনের ট্যাক্সের টাকায় নির্মিত হয়েছে : রিজভি

বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি আহমেদ বলেন, আ’লীগের ষড়যন্ত্রের নির্বাচনে বিএনপি কখনোই অংশ নিবে না। পদ্মা সেতু শেখ হাসিনার শাড়ির আঁচলে বাঁধা টাকায় করেননি। জনগনের ট্যাক্সের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে, তাহলে তার এত গর্ব কিসের? প্রধানমন্ত্রী এখন পাগল হয়ে গেছেন, তার তো আজ গনভবনে নয়, তার পাবনায় থাকার কথা।

সোমবার(২৩ মে) বিকেলে লালমনিরহাটের বড়বাড়ি শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় মাঠে রংপুর বিভাগীয় জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্ণামেন্টের দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভি আহমেদ বলেন, বেগুনের দাম বেশি তাই প্রধানমন্ত্রী বলেন মিষ্টিকুমড়ার বেগুনি খাই। মিষ্টিকুমড়ার বেগুনি হবে কি করে?। তিনি(প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, তেল ছাড়া রান্না করা যায়। তাহলে আপনি প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও তো দেশ চলানো যায়। সুষ্ঠ নির্বাচন দিলে যেই ক্ষমতায় আসুক সেই থাকবে। শেখ হাসিনাকে তো প্রধানমন্ত্রী থাকতেই হবে। এমন তো কোন কথা নয়। আপনি থাকার কারনে গনতন্ত্র ধ্বংস, ভোট ধ্বংস, দিনের ভোট রাতে হয়, ভোট কেন্দ্র মানুষ নেই, আছে কুকুর গরু ছাগল তারা ভোট কেন্দ্রে থাকেন। এই হলো ভোট, নির্বাচন, এই হলো গনতন্ত্র।

রিজভি বলেন, দেখবেন হঠাৎ করে কোন মানুষ যদি অনেক টাকা পেয়ে যায়। তখন তার মাঝে পাগলামি শুরু হয়। তাদের আমলে ১১ লক্ষ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এটা আওয়ামীলীগ করেছে। তাই তাদের মাঝে একটা পাগলামি চেপে বসেছে। তারা আজ উদ্ভট কথা বলছে।

রিজভি বলেন, খেলাধুলার সাথে মানুষের সুস্থতার সম্পর্ক আছে। একজন রাজনীতিক কর্মী যদি খেলাধুলার সাথে সম্পৃক্ত থাকে তবে সে ভাল আদর্শবাদি দক্ষ রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে গড়ে উঠবে। এত সুন্দর আয়োজন আগে জানলে এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দাওয়াত দিতে বলতাম। তাহলে তার মাঝে সুস্থতা ফিরে আসত। আমি তার মাঝে কোন সুস্থতা দেখিনা।

রিজভি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই নয়, একজন সুস্থ্য মানুষ হিসেবে কখনই বলতে পারেন না। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও স্বাধীনতার ঘোষকের স্ত্রীকে পদ্মা নদীতে টুস করে চুবিয়ে আবার তুলবেন। এটা কিভাবে বলেন। অসুস্থ্য ছাড়া কোন সুস্থ্য মানুষ কখনই এভাবে বলতে পারেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাঝে আমি সুস্থতার কোন লক্ষন দেখি না। পাগলামি ছাড়া।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি’র সিনিয়র মহাসচিব বলেন, নিরপেক্ষ সরকার দিতে হবে। তারাও তত্ত্বধায় সরকারের জন্য আন্দোলন করেছিল। তারাই আবার তত্ত্বধায়ক সরকার পরিবর্তন করলো কেন? সুতরাং তত্ত্ববধায়ক সরকার দিতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করলে হাসিনা সরকারের পাতানো নির্বাচনে বিএনপি’র অংশ গ্রহন করার প্রশ্নেই উঠে না।

বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুর হাবিব দুলু’র সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রংপুর জেলা বিএনপি’র আহবায়ক সাইফুল ইসলাম, রংপুর মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক সামসুজ্জামান সামু, লালমনিরহাট জেলা বিএনপি’র সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলা, সদর বিএনপি’র আহবায়ক একেএম মমিনুল হকসহ রংপুর বিভাগের বিএনপি’র নেতার্কমীরা।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker