আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী: আ. লীগের সমর্থকরা যেভাবে বিএনপিতে যোগ দিতে পারবেন, কারা আসতে পারবেন না
বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগের সবাই নয়, শুধুমাত্র সেই সমর্থকরা যারা বিএনপির কার্যক্রমে বাধা দেননি এবং সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য, তারাই প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে বিএনপিতে যোগ দিতে পারবেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, কারা আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপির সদস্য হতে পারবেন এবং কোন ধরনের ব্যক্তিকে দলে নেওয়া যাবে না।
আজ শনিবার (১৭ মে) দুপুরে চট্টগ্রামের কাজীর দেউড়িতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিভাগীয় পর্যায়ে সদস্য ফরম বিতরণ ও নবায়ন কার্যক্রমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান ও লক্ষ্য
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, দীর্ঘদিন পর এভাবে সদস্য সংগ্রহ করার সুযোগ তাদের সামনে এসেছে এবং এটিকে কাজে লাগাতে হবে। তিনি বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় দল বিএনপিতে যোগ দেওয়া গর্বের বিষয়। এজন্য অনুষ্ঠান করে সবার উপস্থিতিতে দলের প্রত্যেকটি ইউনিট সদস্য সংগ্রহ করবে। এগুলো মেইনস্ট্রিম মিডিয়া ও ফেসবুকে প্রচার করার নির্দেশনাও দেন তিনি।
আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে যোগদানের শর্ত
আওয়ামী লীগ থেকে যারা আসতে পারবেন:
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “আওয়ামী লীগের কাউকে দলে নেওয়া যাবে না। তবে আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিল, কিন্তু বিএনপির কার্যক্রমে বাধা দেয়নি, আমাদের ওপর জুলুম করেনি, উল্টো ভেতরে ভেতরে আমাদের সহযোগিতা করেছে তাদের দলে নিতে কোনো সমস্যা নেই।” তিনি আরও বলেন, এমন ব্যক্তি যদি সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য হন, তাহলে তিনি আসতে পারেন।
যোগদানের প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, “গোপনে কাউকে সদস্য করা যাবে না। বিএনপিতে যোগ দিতে হলে ঘোষণা দিতে হবে এবং প্রকাশ্যে যোগ দিতে হবে।”
দলে যাদের নেওয়া যাবে না
যাদের সদস্য করা যাবে না:
আমীর খসরু সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “সদস্য করার সময় আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিকে দলে নেওয়া যাবে না। যাদের কারণে আমাদের ভোট কমে যায় আবার আওয়ামী লীগের কাউকে দলে নেওয়া যাবে না।”
বিএনপি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক মাহবুবের রহমান শামীমের সভাপতিত্বে ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ।