বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকালিহাতী

কালিহাতীতে ষড়যন্ত্রের জাল – আওয়ামী এজেন্ডার নতুন কারিগররা!

কালিহাতীর রাজনীতিতে আবারও নেমে এসেছে নতুন এক ষড়যন্ত্রের ছায়া। মূলধারার জাতীয়তাবাদী শক্তিকে দুর্বল করতে মাঠে নেমেছে একদল মুখোশধারী  সক্রিয় চক্র। যারা নিজেদের ভিন্ন রূপে উপস্থাপন করলেও, প্রকৃতপক্ষে তারা আওয়ামী  লীগে এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য তৎপর রয়েছে। 

এই চক্রের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড হলেন,উপজেলার  এলেঙ্গার গণজাগরণ মঞ্চের এক সময়ের নেতা দাস পবিত্র এবং তার সহযোগী মনির হোসেন ওরফে দালাল মনির।

এরা দুজনই আওয়ামী লীগের রাতের ভোটের সাবেক এমপি সোহেল হাজারীর ঘনিষ্ঠ এবং তার আশীর্বাদপুষ্ট। এখনো তারা আওয়ামী ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছে

Image

যুবদল নেতা রফিককে ব্যবহার করে ষড়যন্ত্র এই চক্রের মূল লক্ষ্য কালিহাতীতে বিএনপির শক্তিকে দুর্বল  করে দেওয়া। এজন্য তারা  পরিকল্পিত কৌশলপ —কালিহাতী প্রেসক্লাবের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যুবদল নেতা রফিকুল ইসলাম  রফিককে সামনে এনে রাজনৈতিক ফাঁদ তৈরি করে।

পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নে দাস পবিত্র তার এলেঙ্গার কলেজ মোড়স্থ তার কথিত অফিস ও নিজ বাড়িতে একাধিক গোপন বৈঠক করে। এসব বৈঠকে অংশ নেয়—আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয়  উপ কমিটির সহ-সম্পাদক আবু নাসেরের ব্যক্তিগত উপদেষ্টা রশিদ আহমেদ আব্বাসী,

জাতীয় পার্টির জেলা কমিটির  সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মতিন, কালিহাতী পৌর জাতীয় পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল আলম স্বপন সিদ্দিকী ওরফে “তেল স্বপন”, এলেঙ্গা পৌর ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সুমন ঘোষ।
Image

এ চক্রটি   পরিকল্পিতভাবে মূলধারার সাংবাদিকদের সাথে যুবদল নেতা রফিকের দ্বন্দ্ব তৈরি করে দেয়। ফলশ্রুতিতে কালিহাতী প্রেসক্লাবে হামলার ঘটনায় রফিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানীয় দৈনিক থেকে শুরু করে দেশের অন্যতম ও শীর্ষস্থানীয় মিডিয়ায়  সংবাদ প্রকাশিত হয়, যা তাকে বিতর্কিত করে।

যার বদৌলতে রফিককে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজের দায়ে যুবদল থেকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ বহিষ্কার করা হয়। এতে বিএনপির ইমেজ অনেকটাই   ক্ষুন্ন  হয়। 

একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, এ সকল পরিকল্পনার পেছনে সবচেয়ে সক্রিয় ছিল দাস পবিত্র ও উপজেলার নওপাড়া গ্রামের বিতর্কিত  আব্বাসী পরিবার। এরা আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য যুবদল নেতা রফিককে সামনে এনে বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিভক্তি বাড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। 
Image

স্থানীয় সুশীল সমাজ মনে করছে,আওয়ামী  সরকার পতনের আন্দোলন শেষ হওয়ার প্রায় ৬-৭ মাস পর কেন হঠাৎ প্রেসক্লাব সংস্কারের নামে যুবদল নেতা রফিককে ব্যবহার করা হলো? এর পেছনে যে একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র ছিল, তা এখন অনেকটাই  স্পষ্ট।

যত দ্রুত সম্ভব এই মুখোশধারীদের দ্রুত  বয়কট করা এখন সময়ের দাবী। তা না হলে এ অপশক্তি  কালিহাতীতে অস্থিরতা সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে পারে।

তাই সময় এখন এদের বিরুদ্ধে গনসচেতন তৈরি করে এবং প্রতিরোধ গড়ে তোলা, নাহলে এরা আরও বড় ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাবে। কালিহাতীর দেশপ্রেমিক ও জাতীয়তাবাদী শক্তির এখন একটাই দায়িত্ব – এদের প্রতিহত করা! 

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker