পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মালিকানাধীন সাভারে অবৈধ ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
মেয়াদ উত্তীর্ণ লাইসেন্স ব্যবহার করে ভাটা পরিচালনা ও ইট প্রস্তুত করার অভিযোগে সাভার রিফ্র্যাক্টরিজ লিমিটেডকে নগদ তিন লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সাভার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জহিরুল আলম।
সরেজমিনে সাভার রিফ্র্যাক্টরিজ লিমিটেড ইটভাটাটি ঘুরে দেখা যায়, ভাটার পাশেই নির্মিত বিশাল খামার ও বিশ্রামাগার। যেখানে রয়েছে হরিণ, কবুতর, গরু, ভেড়া, ইমু পাখি, উটপাখিসহ নানা ধরনের পশুপাখি। ক্ষমতায় থাকাকালীন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাঝে মাঝে এখানে এসে একান্ত সময় কাটাতেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খামারের একজন কর্মচারী জানান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান এখানে দুই-তিন মাস পর পর তার কারখানা এবং গরুর খামার দেখতে আসতেন। এখান থেকে মাঝেমধ্যে দুধও নিয়ে যেতেন এবং আমাদের খোঁজখবর নিতেন। আরেক কর্মচারী বলেন, ‘এখানে গরু, ভেড়া, হরিণসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি পালন হচ্ছে।
কিছু উট পাখিও আছে। তবে আগের ময়ূর থাকলেও এখন নাই। আমরা এগুলোর দেখাশোনা ও পরিচর্যা করি। খামারের মালিক সাবেক মন্ত্রী ছিলেন তাই এখানে যা কিছু করুক না কেন কেউ কোনো দিন দেখতেও আসেননি। তাছাড়া তিনি এলে তার সাথেই সব সময় পুলিশ থাকত। বহিরাগত লোকজন এখানে আসার সাহস পেত না।’
অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়ায় সাভার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জহিরুল আলম বলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের মালিকানাধীন ইটভাটার লাইসেন্স মেয়াদ উত্তীর্ণ থাকায় সেখানে অভিযান পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানটিকে নগদ তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া একই অভিযোগে পার্শ্ববর্তী মির্জানগর এলাকায় অবস্থিত কনফোর্স লিমিটেড নামক আরও একটি ইট ভাটাকে নগদ তিন লাখ জরিমানা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ভবিষ্যতেও অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান তিনি। তবে অবৈধ ইটভাটার ভেতরে পশুপাখি পালনের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি ভ্রাম্যমাণ আদালত।