রাজনীতি

পলিটিক্যাল পার্টির পাশাপাশি দেশের সাংবাদিক,বুদ্ধিজীবী ,শিক্ষাবিদদের চীনে যাবার সুযোগ করে দিন-ডা. শফিকুর

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন ’চীনের মান্যবর রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে আমরা আহ্বান জানাতে চাই,বিশাল একটি দেশ চায়না ।

তাই আপনারা আপনাদের দেশে বিভিন্ন পলিটিক্যাল পার্টিকে যেখানে সম্মানিত করছেন ।নিজ দেশে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ।তার পাশাপাশি আমাদের দেশের সাংবাদিক মহল,বুদ্ধিজীবী ,শিক্ষাবিদ যারা আছেন ,তাদেরও আপনারা বেশি বেশি করে সুযোগ তৈরি করে দিবেন ।

তাহলে সুন্দর দেশ ও সমাজ বিনির্মাণে তারা আরো অর্থকরী ভূমিকা পালন করতে পারবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি ।রবিবার (২৬ জানুয়ারি ) সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে সফিপুর এলাকায় ওয়ামী স্কুল ্অ্যান্ড মাদরাসায় চীনা দূতাবাস ও জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে খাদ্য সহায়তা ও শীতবস্ত্র বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন ।

তিনি আরো বলেন বাংলাদেশ স্বাধীনতার পরপরই চীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেন ।১৯৭৬ সাল থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নে চীন আমাদের গুরুত্বপূর্ন অংশীদার ।

Image

আমাদের বাংলাদেশে যতগুলো বড় বড় প্রকল্প রয়েছে ।অধিকাংশ গুলোতে চীনের সহায়তা রয়েছে ।বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতুতে চীনের আর্থিক এবং কারিগরি সহায়তার পার্টনারশিপ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে । যা দক্ষিনবঙ্গের প্রায় ৫ কোটি মানুষের জীবনকে সহজ করে দিয়েছে ।

এছাড়াও বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় যে সম্মেলন কেন্দ্র রয়েছে ,সেটি চীন বাংলাদেশ সম্মেলন কেন্দ্র ।এটি মুলত চীন আমাদের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বাস্তবায়ন করেছিলো ।কিন্তু পরে বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে পুরোটাই বাংলাদেশকে উপহার দিয়েছে ।

আমরা এ জন্য বাংলাদেশের জনগনের পক্ষ থেকে রিপাবলিক অব চায়না তার সম্মানিত পেসিডেন্ট শি চিনপিং এবং চায়নার জনগনকে আমরা আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। চীনের এই যাত্রা আমাদের জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত এবং মুসলমানদের একটি ঐতিহ্যগত সর্ম্পক চীনের সাথে রয়েছে ।

এসময় অনুষ্ঠানে চীনা রাষ্ট্রদূত এইচ ই ইয়াও ওয়েন বলেন, চীন সরকারের পক্ষ থেকে গাজীপুরের জনগনের জন্য কিছু শীতের কম্বল ও খাদ্যসামগ্রী নিয়ে এসেছি। শীতকালীন তাপমাত্রার হ্রাস পাওয়ায় অনেকের জীবনযাত্রা দুরূহ হয়ে পড়েছে। এই কম্বল শীত নিবারনে সহায়ক হবে।

তিনি আরো বলেন, ‘জামায়াতের আমিরকে ধন্যবাদ জানাই, বাংলাদেশের মানুষকে সহায়তা করার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমি এই ওয়ামি স্কুল পরিদর্শন করে খুশি হয়েছি। এই স্কুলে অনেক এতিম শিক্ষার্থীর জামায়াতে ইসলামীর মাধ্যমে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই এতিম শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। আমরা এই প্রতিষ্ঠানে চীনের পক্ষ থেকে সহায়তা দেব।

আমরা চীন রাষ্ট্রে ভবিষতে এতিম ও শিক্ষকদের আমন্ত্রণ জানাব আমাদের চীনের জীবনযাত্রা দেখার জন্য। চীন বাংলাদেশের উন্নয়নে সহায়তা করে থাকে। গত বছর জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার জন্য সরঞ্জাম সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চীন ঢাকায় একটি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের প্রকল্প নিয়েছে।

তিনি আরো উল্লেখ করেন, ঢাকা ও আশপাশের শহরের বর্জ্য প্রকল্প স্থাপন করছে চীন। আগামীতে বাংলাদেশের জনগণ আরো শস্তায় বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবে। চীনে কোটির ওপরে মুসলমান রয়েছে। সেখানে বাংলাদেশ জামায়াতের আমির গিয়ে তাদের জীবনমান পরিদর্শন করেছেন।

চীন-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক ভালো রয়েছে। দুই দেশের বন্ধন আরো মজবুত করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। যার বার্তা বাংলাদেশের জনগণের কাছে পৌঁছে দেব।’ তিনি আগামীতে চীনের বর্ষপূর্তিতে বাংলাদেশের জনগণকে আমন্ত্রণ জানিয়ে কম্বলসহ খাদ্যসামগ্রী সহায়তা করতে পেরে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker