বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তাকে সরানোর নাকি চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই আপনাকে সরাবে জনগণ। জনগণই বেছে নেবে কাকে ক্ষমতায় রাখবে আর কাকে রাখবে না। জনগণ চায় আপনি পদত্যাগ করুন এবং একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার দিন।
যেন মানুষ সুষ্ঠুভাবে ভোটটা দিতে পারে। একেই তো গণতন্ত্র বলে। আপনি কী গণতন্ত্র মানে জানেন প্রধানমন্ত্রী? আপনি ক্ষমতায় থাকতে চান যেভাবে তারই শিকার শহীদুল ইসলাম টিটু। অর্থাৎ বিরোধীদলের জন্য কোনো মাঠ থাকবে না।
সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলার মতো কোনো লোক থাকবে না।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় থানা বিএনপির সভাপতি অসুস্থ শহিদুল ইসলাম টিটুর বাড়িতে তাকে দেখতে এসে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে ২৯ জুলাই বিএনপির ঢাকার প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিতে গেলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে পুলিশের রাবার বুলেট টিটুর চোখে লাগে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেন বিএনপি নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে।
আমরা সরকারের একতরফা নির্বাচনে অংশ নেব না এবং করতে দেব না। এ নারায়ণগঞ্জেই কয়েকদিন আগে শাওন মারা গেছে। টিটুর মতো কত তরুণের চোখ চলে গেছে পুলিশের গুলিতে। আপনি টিটুদের চোখের আলো কেড়ে নিয়ে গোটা জাতিকে অন্ধ করে দিয়েছেন।
রিজভী বলেন, মানুষের অধিকারের জন্য কোনো ত্যাগ বৃথা যায় না।
এই ত্যাগের মধ্য দিয়েই শেখ হাসিনার পতন হবে। জনগণ যাকে ভোট দেবে সেই ক্ষমতায় থাকবে। জনগণ চাইলেই ক্ষমতা থেকে সরাতে পারে। এখানে কোনো ষড়যন্ত্র নেই। ষড়যন্ত্র আপনি করছেন শেখ হাসিনা। ভোট চুরি করার ষড়যন্ত্র। তরুণদের চোখের আলো কেড়ে নিচ্ছেন তাদের হাত পা কেটে নিচ্ছেন। এগুলো আর চলবে না।
তিনি আরো বলেন, আজকে টিটুরা যে তাদের অঙ্গ হারাচ্ছে এগুলো নিজেদের জন্য নয়, গণতন্ত্রের জন্য মানুষের অধিকারের জন্য। এই ত্যাগ কখনও বৃথা যাবে না। এ নিশিরাতের সরকারের পতন হবেই। পরে একদফা দাবি আদায়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফতুল্লায় লিফলেট বিতরণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ হাসান ভুইয়া, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি প্রমুখ।