রাজনীতি

কারাবন্দী আলেমদের মুক্তি দাবি হেফাজত মহাসচিবের

যেসব আলেম কারাবন্দী রয়েছেন তাদের মুক্তি দাবি করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমান। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত যেসব বন্দী মুক্তি পেয়েছেন এবং সে সব বন্দীদের মুক্তির ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট যারা অবদান রেখেছেন তাদের সবার প্রতি আমরা আন্তরিক শুকরিয়া ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তবে এখনো যেসব ওলামায়ে কেরাম, হেফাজতের নেতা-কর্মী ও ইসলাম প্রিয় জনতা বন্দী রয়েছেন, তাদের সবার দ্রুত মুক্তি দেয়ার জন্য সরকারের কাছে জোরালো দাবি জানাচ্ছি।

রোববার রাজধানীর খিলগাঁওয়ের মাখজানুল উলুম মাদরাসার মিলনায়তনে পবিত্র মাহে রমজানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা ও কারাবন্দী আলেম ওলামার মুক্তি কামনায় হেফাজতে ইসলাম আয়োজিত দুয়া ও ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, তাদের এ দীর্ঘ বন্দিত্বের কারণে তাদের পরিবার এবং কারো কারো প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে গেছে। তাই হেফাজত নেতাকর্মীদের নামে ২০১৩, ২০১৬ ও ২০২১ সালের যত মামলা হয়েছে, পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সব মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই।

একইসাথে সাম্প্রতিক হিজাব ইস্যুতে হেফাজত মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমান বলেন, নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে হিজাব পরে স্কুলে আসায় কমপক্ষে ২০ ছাত্রীকে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা আমোদিনী পাল। এর আগে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার সেবারহাটের শের-ই-বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের বোরখা পড়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ধরনের বিচ্ছিন্ন ঘটনার মাধ্যমে এদেশের মুসলমানদেরকে উস্কানি দেয়া হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার।

তিনি আরো বলেন, এদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। এদেশে কিভাবে বোরকা ও হিজাব পরিধানে বাধা দেয়া হয়? বোরখা-হিজাব ইসলামের অপরিহার্য বিধান। তাই স্বভাবতই মুসলমানরা বোরখা-হিজাব পরিধান করবে। এজন্য নওগাঁ এবং সেনবাগের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেন, কুরআন নাযিলের মাস পবিত্র মাহে রমযানে কুরআনের শিক্ষাকে সবার মাঝে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা আলেম ওলামা ও ইমামদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। তাই প্রত্যেক আলেমের উচিৎ, বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত ও যিকির ইস্তিগফার পাঠ করার জন্য মুসুল্লিদেরকে উৎসাহিত করা।

মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন হেফাজত নেতা মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সোবহানী, মাওলানা জহুরুল ইসলাম, মাওলানা শিব্বির আহমাদ, মাওলানা ইউনুস ঢালী, মাওলানা কিফায়াতুল্লাহ আযহারী, মাওলানা এনামুল হক মূসা, মাওলানা মাহবুবুল আলম, মাওলানা মুবিনুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল্লাহ ইয়াহয়া, মাওলানা রাশেদ বিন নূর, মাওলানা আল আমিন, মাওলানা সুলতান মাহমুদ, মাওলানা গোলাম মাওলা, মাওলানা ইউনুস, মাওলানা আফসার মাহমুদ প্রমুখ।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker