সংবর্ধনায় একক বক্তা তারেক রহমান; ভোগান্তি এড়াতে ৩০০ ফিটে সংক্ষিপ্ত আয়োজন
বিমানবন্দর থেকে নেমে আগে হাসপাতালে যাবেন মায়ের কাছে; এরপর বাবা ও ভাইয়ের কবর জিয়ারত

আগামীকাল ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্য কোনো নেতা বক্তব্য দেবেন না। অনুষ্ঠানে তারেক রহমানই থাকবেন একমাত্র বক্তা। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, তারেক রহমান সবসময় জনদুর্ভোগের বিষয়টি মাথায় রাখেন। সে কারণেই রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কিংবা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে কোনো বড় কর্মসূচী রাখা হয়নি। পরিবর্তে রাজধানীর এক প্রান্তে অবস্থিত ৩০০ ফিট মহাসড়কের সার্ভিস লেনের একপাশে সংক্ষিপ্ত আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
আগমন পরবর্তী সূচী:
বিমানবন্দরে অবতরণের পর তারেক রহমান সরাসরি হাসপাতালে যাবেন চিকিৎসাধীন মা বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করতে। এরপর তিনি তাঁর বাবা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করবেন। মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে টানা তিন দিনের সরকারি ছুটির সময়টিকে তিনি দেশে ফেরার জন্য বেছে নিয়েছেন বলে জানান সালাহউদ্দিন আহমদ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ৩০০ ফিটের সংক্ষিপ্ত আয়োজনে তারেক রহমান দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবেন এবং দেশের কল্যাণ কামনায় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে নেতা-কর্মীদের না যাওয়ার যে নির্দেশনা তারেক রহমান দিয়েছিলেন, বাংলাদেশেও সেই নির্দেশনা সর্বোচ্চ বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে বিএনপি।
দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি এমনভাবে সাজানো হয়েছে যাতে সাধারণ মানুষের যাতায়াতে কোনো ব্যাঘাত না ঘটে। জননিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি দলের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দলও মাঠে থাকবে। ১৭ বছর পর প্রিয় নেতার বক্তব্য শুনতে মুখিয়ে আছেন লাখো নেতা-কর্মী।