গানম্যান নেবেন না নুর; পোশাকধারী হামলাকারীদের বিচার চাইলেন ডাকসুর সাবেক ভিপি
‘আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে ভোটাররা কেন্দ্রে যাবে না’—ডাকসু ভবনের সামনে নুরুল হক নুর
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা শঙ্কার কথা বিবেচনায় নিয়ে দেশের ২০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সরকারিভাবে ‘গানম্যান’ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই তালিকায় নাম থাকলেও ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য গানম্যান নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভবনের সামনে আয়োজিত এক সভায় তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। ২০১৯ সালের ডাকসু হামলার ৬ বছর উপলক্ষে এই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছিল।
প্রত্যাখ্যানের নেপথ্যে নুরের যুক্তি:
নুরুল হক নুর বলেন, “সম্প্রতি আমার কার্যালয়ের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাক পরিহিত অবস্থায় প্রকাশ্য দিবালোকে হামলা চালানো হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত ওই হামলাকারীদের বিচার নিশ্চিত না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত সরকারের দেওয়া কোনো ব্যক্তিগত গানম্যান বা নিরাপত্তা সুবিধা আমি গ্রহণ করছি না।”
নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে নুর আরও বলেন, কেবল প্রার্থীদের গানম্যান দিয়ে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো সম্ভব নয়। সারা দেশের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি আইন-শৃঙ্খলার দৃশ্যমান উন্নতি না হয় এবং ভোটারদের মনে আস্থা তৈরি না হয়, তবে মানুষ ভোটকেন্দ্রে আসার সাহস পাবে না।
উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের গানম্যান দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার। তবে নুরের এই প্রকাশ্য প্রত্যাখ্যান রাজনৈতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সভায় গণ অধিকার পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।