‘বাংলাদেশে আর কোনো গডফাদার সৃষ্টি হতে দেওয়া হবে না’: কক্সবাজারে বললেন নাহিদ ইসলাম

‘গডফাদারতন্ত্রের’ অবসান ও ভবিষ্যৎ অঙ্গীকার

নাহিদ ইসলাম বলেন, “গত সরকারের সময়ে কক্সবাজার সন্ত্রাস ও মাদকের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল। যেমনভাবে নারায়ণগঞ্জে গডফাদার ছিল, ঠিক তেমনিভাবে কক্সবাজারেও ছিল।” তিনি অভিযোগ করেন, “শেখ হাসিনার অধীনে দেশজুড়ে এক বড় গডফাদার ও তার অধীনে ছোট ছোট গডফাদাররা রাজত্ব করত। আমরা সে গডফাদারতন্ত্রের অবসান ঘটিয়েছি। এখন আর কাউকে গডফাদার হতে দেওয়া হবে না।”

পর্যটনশিল্প ও রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বক্তব্য

পর্যটনশিল্প প্রসঙ্গে এনসিপি আহ্বায়ক বলেন, “কক্সবাজারে পর্যটনের নামে আওয়ামী লীগ শুধু লুটপাট আর উচ্ছেদ চালিয়েছে। আমরা চাই, একটি পরিবেশবান্ধব পর্যটনব্যবস্থা গড়ে উঠুক—যেখানে কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত থাকবে।”

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে তিনি বলেন, “রোহিঙ্গা ইস্যু দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল। তবে তাদের অধিকারহীন অবস্থায় বছরের পর বছর বাংলাদেশে রেখে দেওয়া সমাধান নয়। এতে কক্সবাজারের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা এবং স্বাভাবিক জীবনব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”

তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, ড. ইউনূস এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান—”রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রুত ও সম্মানজনক সমাধান করুন। তাদের নিজ দেশে নিরাপদে অধিকারসহ ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন।”

‘জুলাই পদযাত্রা’ ও সমাবেশ

‘জুলাই পদযাত্রা’ দুপুর ১টায় কক্সবাজার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে শুরু হয়। এনসিপির নেতাকর্মীরা প্ল্যাকার্ড, ব্যানার ও পোস্টার হাতে স্লোগানে স্লোগানে মুখর করে তোলেন পুরো এলাকা। পদযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। পরে নেতৃবৃন্দ শহীদ দৌলত ময়দানে সমাবেশে অংশ নেন।