নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছেই। কমিশনের প্রতিবেদন বাতিলের দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম ও অন্যান্য কিছু সংগঠন। প্রতিবেদন বাতিলের দাবিতে একাধিক সমাবেশ করেছে হেফাজত। এক সমাবেশে নারীদের নোংরা ভাষায় গালিগালাজের অভিযোগ রয়েছে হেফাজত নেতাদের বিরুদ্ধে।
এবার নারীদের নোংরা ভাষায় গালিগালাজের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠালেন ছয় নারী। সোমবার (৫ মে) দুপুরে এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন এনসিপির নেত্রী সৈয়দা নীলিমা দোলা।
জানা গেছে, ছয় নারীর মধ্যে তিন জন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেত্রী। বাকি তিন নারী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। ওই গালির প্রেক্ষিতেই লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন এনসিপির নেত্রী সৈয়দা নীলিমা দোলা, দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী ও নীলা আফরোজ, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব উম্মে রায়হানা, উম্মে ফারহানা ও ক্যামেলিয়া শারমিন চূড়া।
লিগ্যাল নোটিশটির বিষয়ে এনসিপি নেত্রী সৈয়দা নীলিমা দোলা বলেন, ‘পাবলিক প্লেসে নারীকে বেশ্যা বলার কারণে আমরা নোটিশটি পাঠিয়েছি। অ্যাডভোকেট পলাশের মাধ্যমে নোটিশটি পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, কালকে তারা (হেফাজতে ইসলাম) নোটিশটি পেয়ে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি, গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ সবার। সরকার যে নারী সংস্কার কমিশন গঠন করেছে, এই নিয়ে দ্বিমত থাকতে পারে। এটা আমার, আপনার থাকতে পারে, বিএনপির থাকতে পারে, জামায়াতের থাকতে পারে, এনসিপির থাকতে পারে, হেফাজতেরও থাকতে পারে। সেটা নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা হতে পারে। দশ-পনেরো হাজার মানুষ জড়ো করে কোনো নারীকে বেশ্যা বলা এবং তা স্বীকৃতি দেওয়া যায় না।
এতে নারীর সম্মান ব্যাহত হয়। এ কারণেই লিগ্যাল নোটিশটি পাঠিয়েছি।’ নারী সংস্কার কমিশনের কথা তুলে গালি দিয়েছিলেন হেফাজত নেতারা। নোটিশদাতারা বলছেন, ‘নারীদের প্রতি এই ধরনের নিপীড়নের সুযোগ নতুন বাংলাদেশে নেই। বিশেষ করে জুলাই অভ্যুত্থানের পর সেই সুযোগ একেবারেই থাকছে না।’