বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ৩১ দফার মধ্যে যত বেশি মানুষের সম্পৃক্ততা ও সমর্থন পাওয়া যাবে, আগামী দিনে ভোটের সংখ্যা তত বেশি বৃদ্ধি পাবে। তাই ভোট নিজের পক্ষে সমর্থন পেতে জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগণ আপনার পক্ষে থাকলে আপনি নেতা আর যদি জনগণ আপনার সঙ্গে না থাকে আপনি কিসের নেতা? তাই নিজের নেতৃত্ব ও রাজনীতিকে টিকিয়ে রাখতে হলে জনগণের সঙ্গে থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে সাড়ে ১০টা ঠাকুরগাঁও ইএসডিও জয়নাল আবেদীন মিলনায়তনে জেলা বিএনপির উদ্যোগে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বাস্তবায়নে দিনব্যাপী কর্মশালার দ্বিতীয় অধিবেশনে (বিকাল ৫টা) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের বিষয়ে সাধারণ মানুষ যা চায় তার সব কিছুই বিএনপির ৩১ দফার মধ্যে রয়েছে। কর্মসংস্থান, কৃষি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ মানুষের মৌলিক চাহিদার সকল বিষয়ে ৩১ দফায় উল্ল্যেখ রয়েছে। স্বৈরাচারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে এই ৩১দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। সেসময় বিএনপির অনেক নেতা কর্মীদের অনেক নির্যাতিত হতে হয়েছে, অনেকেই গুম খুনের শিকার হয়েছেন।
আর রাষ্ট্র সংস্কার বিষয়ে অন্যরা যে প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন তা জনগণই জানেন। বিএনপিকে জনগণের কাছে প্রতিষ্ঠিত করতে অনেক ত্যাগ ও সংগ্রাম করতে হয়েছে। এই সংগ্রামে অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। বিএনপি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা অবশ্যই পালন করবে।
তিনি বলেন, সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া, জনগণের সমর্থন নিয়ে আমরা শুরু করবো পরে পরবর্তী নেতৃবৃন্দ ধাপে ধাপে তা চালিয়ে নিয়ে যাবেন। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের যে দাবি ও চাওয়া রয়েছে সব কিছু নিয়েই এই সংস্কার কার্যক্রম চালাতে চাই আমরা। আমরা চাই ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। আমাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে মতপার্থক্য থাকতে পারে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করবো আমরা। কোনোভাবেই যেন গণতন্ত্রের উত্তোরণ ও মানুষের ভোটের অধিকার এবং রাজনৈতিক অধিকার বাধাগ্রস্থ না হয়, তাহলে সব কিছু শেষ হয়ে যাবে।
বিগত ১৬ বছর রাজনৈতিক ও ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। যার কারণে দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিচারব্যবস্থাসহ সবকিছু ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। আমরা যে সংগ্রামে রাজপথে নেমে এসেছি , যে সংগ্রামে আমাদের নেতাকর্মীরা প্রাণ দিয়েছে, গুমখুনের শিকার হয়েছে—তাদের এই বলিদানকে কোনোভাবেই বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না। বাংলাদেশে যেকোনো মূল্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য ইসমাইল জাবিহুল্লাহ, বিএনপি নেত্রী রাশেদা বেগম হীরা, নেওয়াজ হালিমা আরলি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা ইকবাল হোসেন শ্যামল।