বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন সংস্কার ও ভোটাধিকারের প্রশ্নে জটিল বিতর্কের মুখোমুখি। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রশ্ন তুলেছেন, সংস্কারকে কেন নির্বাচন ও ভোটাধিকারের বিকল্প হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। তিনি সরকারের নির্বাচনী সময়সীমা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বের সমালোচনা করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, বিএনপি সংস্কারের বিরোধী নয় বলে জানালেও তাদের অবস্থান হলো—সংস্কারের মূলে থাকতে হবে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এই বার্তাই দিয়েছেন। জামায়াতে ইসলামী সংস্কার, ফ্যাসিস্টদের বিচার ও সঠিক নির্বাচন পদ্ধতি—এই তিন শর্ত পূরণের ওপর জোর দিয়েছে। দলটির আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, সময়সীমা কঠিন নয়, শর্ত পূরণ হলেই নির্বাচন সম্ভব।
অন্যদিকে, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য স্পষ্ট হচ্ছে। এই বিভাজনের মধ্যেই বাংলাদেশের রাজনীতি এখন অপেক্ষা করছে—সংস্কার নাকি নির্বাচন, কোন পথে এগোবে দেশ? উত্তর হয়তো সময়ই দেবে।