ভ্যালেন্টাইনের সপ্তাহের তৃতীয় দিনটি চকোলেট ডে হিসেবে পালিত হয়। এটি ফেব্রুয়ারির ৯ তারিখে প্রপোজ ডের ঠিক পরের দিন উদযাপন করা হয়। সম্পর্কের মধ্যে মিষ্টি ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য দুর্দান্ত এক উপহার হলো চকোলেট। কোনো উদযাপন কখনো মিষ্টি ইচ্ছা এবং স্বাদ ছাড়া সম্পূর্ণ হয় না।
অতীতে চকোলেট জনপ্রিয় পানীয় হিসেবেই বিখ্যাত ছিল। জে এস ফ্রাই অ্যান্ড সন্স সংস্থা প্রথম ১৮৪৭ সালে শক্ত চকোলেট তৈরি শুরু করল। এরপর ১৮৪৯ সালে রিচার্ড ক্যাডবেরি শুরু করেন চকোলেট তৈরি।
ভিক্টোরিয়ার যুগে চকোলেট প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে উপহার হিসেবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ইউরোপ ও আমেরিকায় ভালোবাসা জানানোর অন্যতম উপহার ছিল এই মিষ্টি।
ইতিহাস অনুসারে, ১৯ শতকে একটি ব্রিটিশ পরিবার কোকোয়া মাখন ব্যবহারের পদ্ধতি খুঁজছিল। তখন রিচার্ড ক্যাডবেরির চকোলেটের মাধ্যমেই সবাই শক্ত আকারের চকোলেটের স্বাদ নেওয়ার সুযোগ পান। নিজের তৈরি ছোট্ট সুন্দর বাক্সে চকোলেট ভরে বিক্রি শুরু করেন তিনি। সযত্নে তৈরি সে বাক্সে একই সঙ্গে থাকত ভালোবাসার দূত কিউপিড ও গোলাপ কুঁড়ি।
তার পর থেকেই বিপুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠে চকোলেট বার। এর পর থেকে প্রেমের উপহার হিসেবেও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই বাক্সগুলো। প্রেমের চিঠি জমাতেও বাক্সগুলো ব্যবহার করতেন অনেকেই! আজও কিন্তু নানা ধরনের প্যাকেট ও বাক্সে বিক্রি হয় বাহারি সব চকোলেট। আজ প্রিয়জনকে কিংবা পরিবারের সবাই চকোলেট উপহার দিন ও ভালোবাসার বন্ধন অটুট রাখুন।