নারী ও শিশু নির্যাতনের শাস্তি নিশ্চিতে আইনের সব ফাঁকফোকর বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুর্শিদ। আর উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলছেন, নারীর প্রতি হেনস্তা কমাতে দৃশ্যমান শাস্তি দেখাতে চায় সরকার।
হঠাৎ করেই চারপাশ নারী এবং মেয়েদের স্বাভাবিক চলাচলের জন্য অসহনশীল ও অনিরাপদ হয়ে উঠলো। কিন্তু কেন? সম্প্রতি কয়েকটি ঘটনায় এমন প্রশ্ন ঘুরছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
১ মার্চ মোহাম্মদপুরে ধূমপান করাকে কেন্দ্র করে দুই নারীর হেনস্তা, ৫ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ওড়নাপড়াকে কেন্দ্র করে হেনস্তার শিকার হন এক নারী শিক্ষার্থী। এসব ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে, হঠাৎ সমাজে নারীর প্রতি সহিংসতা এত বাড়লো কেন? সরকারের অবস্থানই বা কতটা কঠোর?
ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুকে দেখতে গিয়ে উপদেষ্টা শারমিন মুর্শিদ বলেছেন, নারী ও নির্যাতনের শাস্তি নিশ্চিতে আইনের সব ফাঁকফোকর বন্ধ করা হবে তিনি বলেন, “এই কেসটা ক্লিয়ার কাট কেস। এখানে এভিডেন্স আছে, ঘটনার প্রমাণ আছে এবং এটাকে কিছুতেই আমরা হাতছাড়া হতে দেবো না।”
তিনি আরো জানান, “আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব যেন হোম এবং আইন এই দুটো জায়গা থেকে এই বাচ্চাটা সম্পূর্ণ এবং দ্রুতভাবে বিচার পায়। এই যে ফাঁক ফোক্কর বলে একটা জিনিস আছে, এই ফাঁক ফোক্করটাকে আমাদের বন্ধ করতে হবে।”
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কেবল নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা হয়েছে ৬,৮৬৭টি। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের আরেক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজোয়ানা হাসান বলছেন, নারীর প্রতি হেনস্তা কমাতে সরকার এদের দৃশ্যমান শাস্তি দেখাতে চায়।
তিনি বলেন, “এমন একটা ভাইব তৈরি করতে হবে যাতে সকলেই বোঝে যে এই জায়গায় এই কথাটা বললে আমাকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
সেজন্যই আজকে সকালবেলা ওই মেয়েটাকে তার পোশাক নিয়ে কটুক্তি করার প্রেক্ষিতে গ্রেফতারের ঘটনাটা ঘটেছে। কাজেই সরকার একটা মেসেজ দিচ্ছে যে নারীরা ফুটবল খেলবে।
এখন একটা দেশে তো অনেক রকমের শক্তি থাকে, তারা তাদের মতন করে কাজ করবে। কিন্তু সরকার সরকারের ব্যবস্থাটা নিচ্ছে কিনা, সেটা হচ্ছে দেখার বিষয়।
কোন কোন ক্ষেত্রে সরকারের ব্যবস্থা হয়তো আসানুরূপ হচ্ছে না, সেটা আমরা অস্বীকার করছি না। সেক্ষেত্রে আমরা চেষ্টা করছি পরিস্থিতি উত্তরণের।”
সরকারের এই উপদেষ্টা এও বলছেন, নারীর স্বাভাবিক জীবনযাপনে বাধা দেয়া কিছু রাজনৈতিক দলের মতাদর্শ হতে পারে। সরকার তা কোনভাবেই বরদাস্ত করবে না।