বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের (ইসিবি) প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের সহযোগিতা চেয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে চুরি হওয়া বিলিয়ন ডলার পুনরুদ্ধারে। দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক বৈঠকের সাইডলাইনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এক বিবৃতিতে জানানো হয়, “শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনকালে প্রতি বছর ১৬ বিলিয়ন ডলার এবং ব্যাংকিং খাত থেকে শুধু ১৭ বিলিয়ন ডলার তার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর মাধ্যমে বিদেশে পাচার হয়েছে।”
শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। ওই আন্দোলনে তার ১৫ বছরের শাসনামল শেষ হয়। এরপর ৮ আগস্ট ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে।
স্থানীয় আদালতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও গুমের অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি ব্যবসায়িক সহযোগীদের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ এবং অর্থপাচারের অভিযোগেও তিনি অভিযুক্ত।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “এটি ছিল একটি বিশাল ‘হাইওয়ে ডাকাতি’। প্রথমে ব্যাংকগুলো দখল করা হয় এবং তারপর ঋণ নেওয়া হয় যা আর ফেরত দেওয়া হয়নি।”
লাগার্ড, যিনি ২০১১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন, ইউনূস সরকারের প্রচেষ্টাকে সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশকে অর্থপাচার রোধ এবং বিদেশ থেকে অর্থ ফেরানোর জন্য আইএমএফের সাহায্য নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
বৈঠকে তারা জুলাইয়ের গণজাগরণ এবং বাংলাদেশের সংস্কার উদ্যোগ নিয়েও আলোচনা করেন। এছাড়া লাগার্ড বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করেন।