গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারগারে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে দায়ের হওয়া বিস্ফোরক মামলায় ঘটনার ১৭ বছর পর জামিনে মুক্তি পেলেন ১২৬ জন বিডিআর সদস্য ।২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকান্ডের ঘটনায় তারা কারা ভোগ করছিলেন । বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি দুপুর ১২ টার মধ্যে তাদের কারামুক্তি দেয় কাশিমপুর কারাগার কতৃপক্ষ ।
এর মধ্যে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ থেকে ২৪ বিডিআর সদস্য,কারাগার -২ থেকে ৭৯ জন, ও কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১৩ জনকে মুক্তি দেওয়া হয় ।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন মুক্তির সত্যতা নিশ্চিত করেন ।তিনি আরো জানান ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রæয়ারী পিলখানায় চলা বিডিআর বিদ্রোহে হত্যাকান্ডের ঘটনায় দায়ের করা বিস্ফোরক আইনে মামলায় কারা ভোগ করা ১২৬ জন বিডিআর সদস্য এর মুক্তির আদেশ বৃহস্পতিবার ভোরে কারাগারে পৌছালে তাদের মুক্তি দেয়া হয় ।
প্রসংঙ্গত ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রæয়ারী সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআর এর কিছু সদস্যেও কথিত বিদ্রোহের নামে রাজধানীর সদরদপ্তর পিলখানায় নারকীয় তান্ডব চালানো হয় হয় ।
ওই সময় প্রাণ হারান ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ ব্যক্তি। ওই ঘটনার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। দুই কমিটির প্রতিবেদনে ঘটনার বিচার সেনা আইনে করার সুপারিশ করা হলেও উচ্চ আদালতের মতামতের পর সরকার প্রচলিত আইনে বিচার করে। ওই ঘটনায় দুটি ফৌজদারি মামলা করা হয়।
এর একটি ছিল হত্যা মামলা আর অন্যটি বিস্ফোরক আইনের মামলা। খুনের মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। এতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারা দেওয়া হয়। আর ২৭৮ জন খালাস পান। ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর এই মামলায় হাইকোর্টের আপিলের রায় হয়।