দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সদ্য পদত্যাগ করা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব (চুক্তিভিত্তিক) ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেনকে।
একই সঙ্গে দুজন কমিশনারও নিয়োগ পেয়েছেন। অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহ্সান ফরিদকে দুদক কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এসব নিয়োগ দেওয়া হয়।
চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) ১৯৮২ নিয়মিত ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা। ১৯৮২ সালে সহকারী কমিশনার হিসেবে বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যোগদান করেন তিনি। পরে মাঠ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে এবং কেন্দ্রীয় প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন।
তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ও রাষ্ট্রপতির একান্ত সচিব (পিএস) ছিলেন।
এরপর ঢাকার জেলা প্রশাসকের (ডিসি) দায়িত্বও পালন করেন। অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ বিমানের এমডি ও সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। যুগ্ম সচিব থাকার সময় ২০০৯ সালে আবদুল মোমেনকে ওএসডি করে আওয়ামী লীগ সরকার। পরে ২০১৩ সালের ৬ জুন তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছিল। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চুক্তিতে তাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। পরে তাকে সিনিয়র সচিবের পদমর্যাদা দেওয়া হয়। গত ৮ ডিসেম্বর তিনি পদত্যাগ করেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার পদত্যাগ অনুমোদনের পর আবদুল মোমেনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে সরকার। গত ২৯ অক্টোবর মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর নেতৃত্বাধীন দুদক কমিশনের পতন হয়। ওইদিন দুপুরে দুদকের তৎকালীন চেয়ারম্যানসহ কমিশনার (তদন্ত) জহুরুল হক ও কমিশনার আছিয়া খাতুন (অনুসন্ধান) পদত্যাগ করেন। ৩১ অক্টোবর তাদের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়।