ফরিদপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে পাঁচ আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুইজন গুরুতর আহত। আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গুরুতর আহতরা হলেন, গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক বিভাগের সাবেক ছাত্র কাজী নিশাত আহমেদ (২৫) ও সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের মাস্টার্সে অধ্যায়নরত আবরার নাদিম ইতু (২৬)।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে শহরের ব্রাহ্মসমাজ সড়কের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা। সেখানে তারা সড়কে বসে নানা স্লোগানে মুখরিত করে তোলেন। একপর্যায়ে বেলা সোয়া ১১টার দিকে সেখানে অর্ধশত ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ছুটে আসে। এ সময় লাঠিসোটা ও হকিস্টিক দিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় আন্দোলনকারীরা।
এদিকে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনার পর শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী এসে যোগ দেয়। পরে এই হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করে আন্দোলনকারীরা। বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীরা মুজিব সড়ক হয়ে প্রায় দুই কিলোমিটিার হেটে গিয়ে শহরের প্রবেশদ্বার ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে গিয়ে অবস্থান নেয়। সেখানে শিক্ষার্থীরা অবরোধ সৃষ্টি করলে পুলিশের অনুরোধে অবরোধ তুলে নিয়ে আজকের কর্মসূচি শেষ করে আন্দোলনকারীরা।
হামলার বিষয়ে আহত আবরার নাদিম ইতু বলেন, আমাদের কর্মসূচি শুরু হতে না হতে হতেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পুলিশের উপস্থিতিতে অতর্কিতভাবে হামলা করে। হামলাকরীরা আমার পরিচিতই। আমাদের প্রত্যেকের মাথায় আঘাত করেছে তারা। আমাদের দেখে নেয়ারও হুমকি দিয়ে গেছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
