পুলিশের সাথে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) আবু সাঈদ নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। চলমান কোট সংস্কার আন্দোলনে বেরোবিতে অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন আবু সাঈদ।
তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে আন্দোলনকারীরা আরও উত্তেজিত হয়ে পড়েন। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক অবরুদ্ধ করেন। রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতাল থেকে আবু সাঈদের লাশ নিয়ে বেরোবির দিকে যেতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে বেরোবির আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শহরের লালবাগ এলাকা থেকে ক্যাম্পাসের দিকে যায়। এরপর ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। তখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছুড়ে। এ সময় সংঘর্ষে এক শিক্ষার্থী নিহত হন।
মৃত্যুর একদিন আগেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আদনান আবিরের একটি মন্তব্য ফেসবুকে পোস্টে করেন আবু সাঈদ। তাতে লেখা— যদি আজ শহীদ হই, তবে আমার নিথর দেহটা রাজপথে ফেলে রাখবেন। ছাত্র সমাজ যখন বিজয় মিছিল নিয়ে রুমে ফিরবে তখন আমাকেও বিজয়ী ঘোষণা করে দাফন করবেন। একজন পরাজিতের লাশ কখনো তার মা-বাবা গ্রহণ করবে না।
বেরোবির এই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো: মনিরুজ্জামান।