ভারতের আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। কেন্দ্রটির দুটি ইউনিট থেকে গড়ে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যেত। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট আগে থেকেই বন্ধ ছিল। এর মধ্যে গত শুক্রবার কারিগরি ত্রুটির কারণে দ্বিতীয় ইউনিট থেকেও বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহে বড় ঘাটতি তৈরি হয়েছে।
আগামী দু’একদিনের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনটি থেকে পুনরায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে বলে শনিবার (২৯ জুন) রাতে আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়। বার্তায় বলা হয়, প্রযুক্তিগত ত্রুটি ঠিক করতে কাজ করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহের রাষ্ট্রীয় সঞ্চালন সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় ইউনিটে কারিগরি ত্রুটির কারণে ২৫ জুন থেকে উৎপাদন অর্ধেকে নেমে যায়।
ধীরে ধীরে উৎপাদন বাড়ানো হচ্ছিল, কিন্তু শুক্রবার সকাল ৯টা ৪৩ মিনিটে এটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ত্রুটি অনুসন্ধান করে দেখছে কেন্দ্রটি।
এর আগে ঈদের ছুটির সময় চাহিদা কম থাকায় রক্ষণাবেক্ষণে যায় আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট। এটি আগামী ৫ জুলাই উৎপাদনে ফিরতে পারে।
দুটি ইউনিটের উৎপাদনসক্ষমতা ১৬০০ মেগাওয়াট। হঠাত্ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহে বড় ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৬২২ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি ইউনিট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ২৫ জুন থেকে বন্ধ। এতে ঢাকার বাইরে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং দেখা দেয়। তবে শনিবার সারাদেশে বৃষ্টির কারণে বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকায় কিছুটা স্বস্তি ছিল।
বিপিডিবির সদস্য (উৎপাদন) খন্দকার মোকাম্মেল হোসেন বলেন, আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট ৫ জুলাই উৎপাদনে আসার কথা। আর দ্বিতীয় ইউনিট থেকে হঠাত্ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঘাটতি তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে গড়ে ৭৫০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয় গত বছরের মার্চে। দ্বিতীয় ইউনিট থেকে উৎপাদন শুরু হয় জুনে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.