ঋণ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। শুক্রবার রাতে তাদের রাজধানীর মতিঝিল ও বনশ্রী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন চক্রের প্রধান মো. আরফি হাসান রনি, সহযোগী মো. সুমন, রাসেল, হাবিব ও খন্দকার মো. ফারুক। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের লোনের নকল অনুমোদনপত্র, নকল সিল, ঋণের নকল চুক্তিপত্রসহ প্রতারণায় ব্যবহৃত সারঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
ডিবি জানায়, চক্রের প্রধান আরিফ হাসান রনি (৪৩) সাবেক যুগ্ন সচিবের ছেলে এবং সে নিজেকে আইনজীবী হিসেবে পরিচয় দিত। এই চক্রে আরিফের স্ত্রী, সাবেক যুগ্ন সচিবের স্ত্রীও জড়িত আছে।
বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে এসএমই লোন, কৃষি লোন, হোম লোন, প্রাবাসী লোনসহ বিভিন্ন লোন পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসে ফেসবুকের বিভিন্ন পেইজে চটকদার বিজ্ঞপন দিতেন তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে এডিসি সাইফুর রহমান আজাদ বলেন, গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান খুলে অনলাইনে চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে লোন পাইয়ে দেওয়ার মিথ্যা আশ্বাসে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।
তারা পরস্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন ধরে মতিঝিলসহ বিভিন্ন স্থানে, বিভিন্ন নামে অফিস খুলে ভুয়া চেক, বিভিন্ন ব্যাংক লোনের ভুয়া স্যাংশন লেটার, স্ট্যাম্পে চুক্তিনামা, ভিজিটিং কার্ড, ভুয়া সিল ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।
কী পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে জানতে চাইলে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, বিপুল পরিমাণে তারা টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, তবে তদন্ত সাপেক্ষ বিস্তারিত বলা যাবে।
তিনি জানান, রনির এসব প্রতারণার কাজে স্ত্রী আফরাজার আক্তার বেবী, মা সেলিনা চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল সরাসরি যুক্ত রয়েছে। তার স্ত্রীকে সে তার প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, কখনো পরিচালক বলে পরিচয় দিত।
ডিবি জানায়, রনির নামের আগেও দুটি মামলা রয়েছে। আইনজীবী মোজ্জাম্মেল তার আইনি বিষয়গুলো দেখেন। কোনো গ্রহীতা প্রতারিত হওয়া পর টাকা ফেরত চাইলে মোজাম্মেল বিভিন্ন ধরণের আইন আদালতের হুমকি প্রধান করেন।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা হয়েছে। চক্রের বাকী সদস্যদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে ডিবি।