ঈদের ছুটি শুরু ২০ এপ্রিল থেকে ইতিমধ্যে গ্রামের বাড়িতে নিকট আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে গাজীপুরে কর্মরত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ গাজীপুর ছাড়তে শুরু করেছেন। মঙ্গলবার থেকে সারাদিনই গাজীপুরের কালিয়াকৈরের চন্দ্রা এলাকায় ঢাকা টাঙ্গাইল সড়ক-মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গের প্রায় ১৭ জেলার মানুষ নিজ নিজ গন্তব্যে রওনা দিয়েছেন গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে।
শুধু গাজীপুরে অবস্থানকারী লোকজনই নয়। ঢাকায় অবস্থান করা দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিশবঙ্গের লোকজন গাজীপুরের চন্দ্রা ত্রিমোড়, চান্দনা চৌরাস্তা দিয়ে ঈদে যাতায়াত করেন।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড়ে মঙ্গলবার দুপুরে দেখা গেছে, শিল্প কারখানার কর্মরত শ্রমিক ব্যাতিত অন্যান্য লোকজন ঈদ উদযাপন করতে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
এদিকে মহাসড়কে চন্দ্রা এলাকায় জাতির পিতা সরকারী কলেজর সামনে দেখা গেছে যাত্রী অপেক্ষমান প্রায় শতাধিক বাস। উত্তরবঙ্গগামী ১৭ টি জেলার মানুষের চলাচলের কেন্দ্রস্থল চন্দ্রা।
বৃহস্পতিবার থেকেই ঈদের ছুটির বন্ধ হবে এর মধ্যে অনেকেই আবার পরিবার পরিজনদের আগে বাগেই বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছে।
মালেক হোসেন নামের এক গার্মেন্টস শ্রমিক বলেন, আর দুই দিন পর আমার কারখানা ছুটি তাই প্রচুর যানজট হতে পারে। আগে থেকে বউ ছেলে মেয়েকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছি। এছাড়া গতবার ঈদে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যেতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে তাই এবার আর সেই সুযোগটা নিচ্ছিনা।
এদিকে চন্দ্রা, খাড়াজোরা বাইপাস ও স্কয়ারসহ বিভিন্ন স্থানে যাত্রীদের নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে নিরাপত্তা জোরদারে জেলা পুলিশের পাশাপাশি হাইওয়ে ও থানা পুলিশ কাজ করছে। এদিকে যানজট এড়াতে আগে থেকেই মহাসড়কের ইউটার্ন গুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তাছাড়া সড়ক দূর্ঘটনা এড়াতে সার্ভিস রোডে দখল মুক্ত করে অযান্ত্রীক যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন সালনা হাইওয়ে থানার এসআই খাইরুল আলম।
তিনি আরো বলেন সড়কে দূর্ঘটনা ও চুরি ছিনতাইয়ের মত অপ্রিতিকর ঘটনা রোধে সবসময় টহল জোরদার করা হবে।