পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মামুন খান হত্যা মামলার আসামি ইন্টারপোলের রেড নোটিশভুক্ত রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের অবস্থান এখনো জানতে পারেনি বাংলাদেশ পুলিশ। তবে তাকে আটক করে দেশে ফিরিয়ে আনতে কূটনৈতিক যোগাযোগ অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের (এ আইজি মিডিয়া) মো: মনজুর রহমান বলেন, ‘আরাভকে আটক করে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত আছে। এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ ইস্যু হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে।’
তদন্ত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আরাভকে ফিরিয়ে আনতে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সম্প্রতি পুলিশ সদর দপ্তর দুবাইয়ে চিঠি পাঠালেও সেখান থেকে তাকে ফেরত পাঠানোর কোনো জবাব এখনো পাওয়া যায়নি। তবে আরাভ খান বর্তমানে দুবাইয়ে আছেন নাকি অন্য কোথাও, তার সঠিক অবস্থান নিয়ে নানা সূত্র থেকে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। কেউ বলছেন তিনি এখনো দুবাইতেই আছে। আবার কেউ কেউ বলছেন তিনি দুবাই থেকে পালিয়ে অন্য দেশে চলে গেছেন। তবে তার সঠিক অবস্থান এখনো জানা যায়নি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, কূটনৈতিক যোগাযোগের মাধ্যমে ইন্টারপোলের সহযোগিতায় আরাভ খানকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে।
২০০৮ সালের ৮ জুলাই পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মামুন ইমরানকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মামুনের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ রবিউলসহ (আরাভ) ১০ বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সে সময় আরাভকে পুলিশ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দিয়েছিল। এরপর সুযোগ পেয়ে আরাভ খান ভারতীয় পাসপোর্টের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যায় বলে জানা গেছে। গত ১৫ মার্চ দুবাইয়ে ‘নিউ গোল্ড সুক’য়ে আরাভ জুয়েলার্স নামে একটি সোনার দোকানের উদ্বোধন ঘিরে বাংলাদেশের ক্রীড়া ও বিনোদন জগতের তারাকাদের হাজির করার বিষয়ে আলোচনায় আসেন। এরপর তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রেড নোটিশ জারি করে ইন্টারপোল। বর্তমানে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ অব্যাহত আছে। সেই সঙ্গে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দুবাইয়েও খোঁজখবর রাখছেন।