জাতীয়

কেজিতে ৪০ টাকা লাভ করায় মুরগির আড়ৎ বন্ধ

সোনালী মুরগিতে কেজিতে ৪০ টাকা লাভে বিক্রির অভিযোগে রাজধানীর কাপ্তান বাজারের একটি আড়তকে সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ২৮৫ টাকা কেজি দরে সোনালী মুরগি কিনে ৩৩৫ টাকায় বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই আড়তদারের বিরুদ্ধে।

সোমবার (২৭ মার্চ) সকালে রাজধানীর অন্যতম বড় এই পাইকারী বাজারে তদারকি অভিযান পরিচালনাকালে ‘জনতা হাঁস-মুরগির আড়ৎ’ নামের ওই প্রতিষ্ঠানটি সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

আরো পড়ুন: হোটেলে প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রীর পরকীয়া, জিপিএস দিয়ে ধরলেন স্বামী

পাশাপাশি জাকারিয়া নামের ওই আড়তের এক প্রতিনিধিকে (লাইনম্যান) বাজার মালিক সমিতির হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। মুরগির দাম নিয়ে কারসাজির ব্যাখ্যা দিতে ওই প্রতিনিধিসহ বাজার মালিক সমিতির নেতাদের আজ (২৭ মার্চ) দুপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, গত বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) মুরগি উৎপাদনকারী বড় চার প্রতিষ্ঠান (সিপি, আফতাব, কাজী, প্যারাগন) ভোক্তা অধিদপ্তরের কার্যালয়ে এসে ব্রয়লার মুরগি মিল পর্যায়ে সর্বোচ্চ ১৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রির ঘোষণা দেয়। এর ভিত্তিতে গত শুক্র ও শনিবার (২৪ ও ২৫ মার্চ) দেশব্যাপী তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করে ভোক্তা অধিদপ্তর। তদারকি অভিযানে সার্বিকভাবে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগির দাম পড়তির দিকে।

আরো পড়ুন: কমছে মুরগির দাম, ইফতারি তৈরির উপকরণের দামও নিম্নমুখী

কিন্তু আজ কাপ্তান বাজারে তদারকি করে দেখা গেছে, পাইকারি যে দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হওয়ার কথা সেই দামে বিক্রি হচ্ছে না। কেউ ১৭০ টাকা, কেউ ১৭৫ টাকা করে ব্রয়লার মুরগি কিনেছেন। এই দামে কিনলে কত টাকা করে বিক্রি করা যায় তা আমরা বিক্রেতাদের কাছে জানতে চেয়েছি। কেউ বলেছেন ১৯০ টাকা, কেউ বলেছে ১৮৫ টাকা করে বিক্রি করা যায়। কিন্তু বাজারে ১৯০ টাকা করে কোথাও ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে না। এ জন্য আমরা বাজার সমিতিকে ডেকেছি এবং তাদের বিষয়টি অবহিত করেছি।

আরো পড়ুন: টাঙ্গাইলে যমুনা নদীতে গোসল করতে নেমে দুই ভাই নিহত

তিনি আরো বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম অনেকটা কমে এলেও সোনালী মুরগির ক্ষেত্রে এখনো অস্থিরতা রয়েছে। খুচরা পর্যায়ে কোনো ব্যবসায়ী ৩৩৫ টাকা কেজিতে সোনালী মুরগি বিক্রি করছেন, কেউ ৩৪০ টাকায় বিক্রি করছেন। আবার একই মুরগি কেউ ৩৩০ টাকায় বিক্রি করছেন। এ জন্য আমরা মুরগির আড়ৎ তদারকি করতে যাই। সেখানে গিয়ে আমরা অনিয়ম পাওয়ায় একটি আড়তকে সমায়িকভাবে বন্ধ করেছি। পাশাপাশি ওই আড়তের একজন প্রতিনিধি, যাকে ব্যবসায়ীরা লাইনম্যান বলেন, তাকে আমরা সমিতির হেফাজতে রেখেছি। আজ দুপুর ২টায় ওই লাইনম্যানসহ সমিতির নেতাদের আমরা আমাদের অফিসে ডেকেছি। তারা এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেবেন।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker