জাতীয়

১৪ বছরে চা শ্রমিকদের মজুরি বেড়েছে সাড়ে ৮৭ টাকা

দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরি বাড়ানোর দাবিতে টানা ১৮ দিন ধরে চা শ্রমিকদের আন্দোলন চলছে। এ নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক হলেও কার্যকরী সমাধান না হওয়ায় আজ (শনিবার) চা বাগান মালিকদের সঙ্গে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ দিকে ২০০৮ থেকে চলতি বছর পর্যন্ত চা শ্রমিকদের মজুরি বেড়েছে মাত্র সাড়ে ৮৭ টাকা। ২০০৮ সালে তাদের দৈনিক সর্বোচ্চ মজুরি ছিল ৩২ টাকা ৫০ পয়সা। এরপর ২০০৯ সালে তা বেড়ে হয় ৪৮ টাকা, ২০১৫ সালে ৮৫ টাকা এবং ২০১৯ সালে হয় ১২০ টাকা।

চা শ্রমিকদের মজুরি ‘এ’ ‘বি’ ও ‘সি’ এই তিনটি ক্যাটাগরিতে বাড়ানো হয়। উপরের মজুরি বাড়ানোর হিসেবটি ‘এ’ ক্যাটাগরি হিসেবে করা হয়েছে।

এদিকে দৈনিক মজুরির পাশাপাশি শ্রমিক কলোনিতে একটি ঘর ছাড়াও প্রান্তিক সুবিধা হিসেবে চা শ্রমিকরা আরও কিছু সুবিধা পান। যেমন: ভাতা, হাজিরা উৎসাহ বোনাস, হ্রাসকৃত মূল্যে রেশন, ফসল উৎপাদনের জন্য ক্ষেতল্যান্ড ব্যবহারের সুযোগ (যে শ্রমিক এ সুযোগ গ্রহণ করে, তার রেশন আনুপাতিক হারে কেটে নেওয়া হয়), চিকিৎসা সুবিধা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, পেনশন ইত্যাদি।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের দাবি, দৈনিক মজুরি এবং অন্যান্য সব সুবিধাসহ একজন চা শ্রমিকের দৈনিক প্রাপ্তি ২০২০ সালে এসে ২০০ টাকারও কম। এমন অবস্থায় দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা দাবি জানান চা শ্রমিকরা। তবে মালিক পক্ষ বলছে, চায়ের দাম পড়ে গেছে। কাজেই মজুরি বাড়ানোর সুযোগ নেই।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাহী উপদেষ্টা রামভজন কৈরী বলেন, সব সমস্যার প্রধান মজুরি বোর্ড। মজুরি বোর্ড যদি মালিকদের কথা না শুনে একটা নিরপেক্ষ সিদ্ধান্ত দিত তাহলে এই সমস্যা তৈরি হতো না।

বাংলাদেশ চা কন্যা নারী সংগঠনের সভাপতি খাইরুন আক্তারও বলছেন, মজুরি বোর্ড ও মালিকপক্ষ মিলে চক্রান্ত করে আমাদের মজুরি বাড়াতে চায় না।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker