চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ জানতে রেলওয়ে থেকে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা থাকলেও ১৭ দিন পর তা জমা দেয় তদন্ত কমিটি।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) মুহম্মদ আবুল কালাম চৌধুরীর কাছে পাঁচ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দেয় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি।
পাঁচ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনে ওই দুর্ঘটনার জন্য দু’জনকে দায়ি করা হয়েছে। তারা হলেন- গেটম্যান সাদ্দাম হোসেন ও মাইক্রোবাসেরচালক গোলাম মোস্তফা।
এদের মধ্যে মাইক্রোবাসেরচালক গোলাম মোস্তফা সেদিনের দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। অন্যজন সাদ্দাম হোসেন বর্তমানে কারাগারে।
আবুল কালাম চৌধুরী বলেন, গেটম্যান সাদ্দাম দুর্ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার বিষয়টি প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। আর মাইক্রোবাসেরচালক মারা গেছেন।
২৯ জুলাই দুপুর দেড়টার দিকে খৈয়াছড়া ঝরনা থেকে মাইক্রোবাসে বাড়ি ফিরছিলেন পর্যটকরা। পরে মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া এলাকায় লাইনে ওঠে পড়া মাইক্রোবাসটিকে দ্রুতগামী মহানগর প্রভাতী ট্রেন টেনে হিঁচড়ে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে নিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে ১১ জন মারা যান। পরে মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজন মারা গেছেন।
এই ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি করে রেলওয়ে। একটি তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয় রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরমান হোসেনকে। অপর কমিটির প্রধান রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনসার আলী।
আনসার আলীর নেতৃত্বাধীন কমিটি প্রতিবেদন জমা দিলেও অপর কমিটি এখনও প্রতিবেদন জমা দেয়নি।