হবিগঞ্জ জেলার ২৪টিসহ দেশের চা বাগানগুলোতে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের নবম দিনের মতো কর্মবিরতি চলছে। বুধবারও (১৭ আগস্ট) তারা কাজে যোগ দেননি। এতে ভরা মৌসুমে ক্ষতির মুখে পড়েছে চা বাগানগুলো।
এদিকে মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলতে শ্রীমঙ্গলে আসেন শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী। তিনি কর্মবিরতি স্থগিত করে কাজে যোগ দিতে শ্রমিকদের অনুরোধ জানান। এ সময় চা শ্রমিক ইউনিয়ন তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।
জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত শ্রম উপ পরিচালক ও রেজিস্টার অব ট্রেড ইউনিয়নের সভাকক্ষে চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী।
আলোচনা শুরু আগে মহাপরিচালক বলেন, তিনি মজুরি নিয়ে কথা বলতে আসেননি। মজুরি নিয়ে কথা বলবেন মজুরি কমিশন, মন্ত্রী, সচিব, ও মালিক পক্ষ।
তিনি বলেন, শ্রমিকরা ধর্মঘট করায় প্রতিদিন বাগান মালিকদের আট কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। তিনি আলোচনার মাধ্যমে চেষ্টা করবেন যাতে শ্রমিকরা আন্দোলন থেকে সরে আসে।
হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটের চানপুর চা বাগানের বাসিন্দা বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল জানান, তারা আন্দোলনের যে পর্যায়ে আছেন, সেখান থেকে ফেরা সম্ভব না। তৃণমূল পর্যায়ে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে। সেখান থেকে মজুরি বৃদ্ধির ঘোষণা আসা ছাড়া ফেরা যাবে না।
শ্রমিক নেতারা বলেন, দীর্ঘ ১৯ মাস থেকে তাদের মজুরি বাড়ানোর বিষয়ে মালিকপক্ষ কথা বলতে রাজি হচ্ছে না। কিন্তু দুই বছর পর পর মজুরি বৃদ্ধির করার কথা।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.