জাতীয়

এক ফিলিং স্টেশনে আড়াই লাখ জরিমানা, আরেকটিকে তলব

প্রায় ২৮ হাজার লিটার অকটেন ও ডিজেল মজুদ রেখে বিনা নোটিসে পাম্প বন্ধ করা এবং লাইসেন্স প্রদর্শন না করতে পারার কারণে রাজধানীর রমনা পেট্রোল পাম্প কর্তৃপক্ষকে রোববার (৭ আগস্ট) অধিদপ্তরে ডেকেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

পাম্পটির বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, তেল না দিয়েই গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা আদায় করে তারা।

আর মতিঝিলের করিম অ্যান্ড সন্সকে পাঁচ লিটার অকটেনে ৫৪০ মিলি কম দেয়ার অপরাধে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিদপ্তর।

জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে পারে এমন আভাস পেয়ে শুক্রবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যা ছয়টায় বিনা নোটিসে পাম্প বন্ধ করে দেয় রাজধানীর রমনা পেট্রোল পাম্পটি। যখন পাম্পটি বন্ধ করা হয়, তখনও এই পাম্পে মজুদ ছিলো ২৭ হাজার ৬২৩ লিটার অকটেন এবং ৩ হাজার ৮৬৪ লিটার ডিজেল। লিটারে ৪৬ টাকা অকটেনে এবং ডিজেলে ৩৪ টাকা বেড়ে যাওয়ায় এক দিনেই রমনা পেট্রোল পাম্পের মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ২ হাজার ৩৪ টাকা।

রমনা পেট্রোল পাম্পের বিরুদ্ধে ভোক্তাদের অভিযোগ, ট্যাঙ্কিতে তেল না দিয়েই টাকা নিচ্ছে তারা।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল জানান, ভোক্তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান চালালে প্রথমে কোন লাইসেন্সই দেখাতে পারেনি রমনা পেট্রোল পাম্প কর্তৃপক্ষ। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ট্রেড লাইসেন্স পেলেও দেখা যায় গেল ৩০ জুন তার মেয়াদ শেষ।

এতো অভিযোগ যে পাম্পের বিরুদ্ধে তার মালিক আবার বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি। অভিযুক্ত সেই রমনা পেট্রোল পাম্প মালিক নাজমুল হক বলেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

এদিকে, পাঁচ লিটার অকটেনে ৫৪০ মিলিমিটার কম দেয়ার প্রমাণ মেলে মতিঝিলের কমির অ্যান্ড সন্সে। ফলে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় পাম্পটিকে। এছাড়াও সিলগালা করা হয় করিম অ্যান্ড সন্সের দু’টি ইউনিট।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker