কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণেই দুই বিমানের ডানায় ডানায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল বলে জানালেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: যাহিদ হোসেন।
বিমানের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, সেদিন উড়োজাহাজ হ্যাঙ্গারে নিয়ে আসার জন্য যারা কাজ করছিলো তাদের একজন ছিলেন সুইপার। এ ধরনের গাফলতির বিষয়ে কোন ছাড় দেয়া হবেনা বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিমানের কার্যালয় বলাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সেই ঘটনার বিবরণে তিনি জানান, বিগত ৩ জুলাই রাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের হ্যাঙ্গারে নিয়ে যাবার সময় দাড়িয়ে থাকা একটি উড়োজাহাজের সাথে অন্য উড়োজাহাজের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। টো করে পুশকার্টের মাধ্যমে বিমানকে নিয়ে যাবার ক্ষেত্রে যারা কাজ করছিলেন তাদের একজন ছিলেন সুইপার সুপ্রহ। তিনি ডান দিকের ডানার পাশে দাড়িয়ে নির্দেশনা দিচ্ছিলেন।
তিনি আরও জানান, সুপ্রহ বিমানের দৈনিক মজুরি ভিত্তিক একজন সুইপার। এ বিষয়ে যার কোন প্রশিক্ষণ নেই। এই কাজ করার দায়িত্বে যিনি ছিলেন তিনি সেটি না করে সুপ্রহকে দিয়ে করাচ্ছিলেন।
কখনো হ্যাঙ্গারে, কখনো থেমে থাকা এয়ারক্রাফটে, শেষ পাঁচ মাসে পাঁচটি দুর্ঘটনা ঘটেছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। সবশেষ গত ৩ জুলাই রাতে বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গারে ডানায় ডানায় সংঘর্ষ ঘটে দুটি বোয়িং বিমানের মধ্যে।
সংবাদ সম্মেলনে বিমানের নতুন এমডি দাবি করেন, এখন পর্যন্ত যে কয়টি ঘটনা ঘটেছে সবগুলোতেই দোষী সবাইকেই বরখাস্ত করা হয়েছে।
বলাকায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি সরাসরি দায়ী করলেন দুর্ঘটনার সময় দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের।
বিমান দক্ষ জনবলের অভাবে ভুগছে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বিমানবন্দরের লাগেজ ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা, সেবার নিম্নমান, আর ধারাবাহিক লোকসানের অভিযোগ স্বীকার করে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব নেয়া অতিরিক্ত সচিব যাহিদ হোসেন জানালেন, স্বাধীনতার পর এবারই প্রথম বিমান সবচেয়ে বেশি লাভ করতে যাচ্ছে। বর্তমানে বিমানের বার্ষিক আয় ৭০০ থেকে ৭৫০ মিলিয়ন ডলার। এটিকে ১ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়াই তার লক্ষ্য।
বিমানের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যেসব তদন্ত হচ্ছে তার সবগুলোতেই তদন্ত সংস্থাকে সহযোগিতা করার সদিচ্ছার কথাও জানিয়েছেন নতুন সিইও। সেই সাথে স্বর্ণ চোরাচালানকারীদের বিরুদ্ধেও আরও কঠোর হবার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।