চলতি বছরের বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত জনশুমারি ও গৃহগণনার ফলাফল অনুযায়ী বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬। এর মধ্যে মুসলমান ৯১.০৪ শতাংশ।
বুধবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশের সব বিভাগেই বেড়েছে মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা। বর্তমানে মুসলমান ৯১.০৪ শতাংশ। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী মুসলমানের সংখ্যা ছিল মোট জনগোষ্ঠীর ৯০.৩৯ শতাংশ।
বিবিএসের প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, সব বিভাগেই কমছে হিন্দু, খ্রিস্টানসহ অন্যান্য ধর্মের জনগোষ্ঠীর সংখ্যা। বর্তমান শুমারিতে হিন্দু জনগোষ্ঠী মোট জনসংখ্যার ৭.৯৫ শতাংশ, ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী যা ছিল ৮.৫৪ শতাংশ।
এবারের শুমারিতে খ্রিস্টান জনগোষ্ঠী মোট জনসংখ্যার ০.৩০ শতাংশ; ২০১১ সালে যা ছিল ০.৩১ শতাংশ। বৌদ্ধ জনগোষ্ঠী মোট জনসংখ্যার ০.৬১ শতাংশ, ২০১১ সালের যা ছিল ০.৬২ শতাংশ। এ ছাড়া অন্যান্য জনগোষ্ঠী মোট জনসংখ্যার ০.১২ শতাংশ; যা ২০১১ সালে ছিল ০.১৪ শতাংশ।
বিবিএস জানায়, এক দশকে দেশে জনসংখ্যা বেড়েছে ২ কোটি ১১ লাখ ১৪ হাজার ৯১৯ জন। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ২২ শতাংশ। প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যা ঘনত্বের হার ১ হাজার ১১৯ জন।
জনশুমারির ফলাফলে আরও বলা হয়, দেশে ৯৮ জন পুরুষের বিপরীতে ১০০ জন নারী। ১০ থেকে তার বেশি বয়সী মানুষের মধ্যে ২৮ শতাংশ অবিবাহিত ও ৬৫ শতাংশ বিবাহিত। সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধিতার হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।