মাগুরার শ্রীপুর উপজেলা থেকে খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লাবনী আক্তারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে, একই জেলা থেকে মাহমুদুল হাসান (২৩) নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের মাথায় গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জানা গেছে, পুলিশ কনস্টেবল নিজ অস্ত্রে আত্মহনন করেন। এর আগে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লাবনী আক্তারের দেহরক্ষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন কনস্টেবল মাহমুদুল হাসান।
আজ বুধবার (২০ জুলাই) রাতে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার সারঙ্গদিয়া গ্রামের নানাবাড়ি থেকে অ্যাডিশনাল এসপির মরদেহ উদ্ধার হয়। আর বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সকালে মাহমুদুল হাসানের মরদেহ পাওয়া যায় মাগুরা পুলিশ লাইনসের ব্যারাকের ছাদে।
লাবনী আক্তার মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার কাদের পাড়া ইউনিয়নের পরালিদহ গ্রামের শফিকুল আযমের মেয়ে। তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন রেঞ্জে ডিবি পুলিশের এডিসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বুধবার রাতে মাগুরার শ্রীপুরের সারঙ্গদিয়া গ্রামে নানা বাড়িতে এসে তিনি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটান।
আর মাহমুদুল হাসানের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুরে। তিনি দেড় মাস আগে মাগুরায় বদলি হন। এর আগে তিনি খুলনায় কর্মরত ছিলেন। বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কামরুল হাসান। তিনি জানান, দুজনের লাশই উদ্ধার করা হয়েছে।
কালের কণ্ঠকে কামরুল হাসান জানান, এক সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লাবনী আক্তারের দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করতেন মাগুরায় পুলিশ লাইনসের ব্যারাকের ছাদে আত্মহনন করা পুলিশ কনেস্টবল মাহমুদুল হাসান। তবে তাদের মৃত্যুর ঘটনার কোনো যোগসূত্র আছে কিনা সে বিষয়ে তিনি কোনো তথ্য দিতে পারেননি।