সিলেট শহরের পানি নামতে শুরু করলেও জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। নতুন করে বেশ কিছু এলাকাসহ জেলার প্রায় ৮০ শতাংশ এখনও পানির নিচে।
তবে সিলেটের সাথে ঢাকার রেলযোগাযোগ চালু হয়েছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।
এদিকে জৈন্তাপুর, জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, বিশ্বনাথ এবং ওসমানীনগরসহ সবগুলো উপজেলা এখন পানিতে টইটুম্বুর।
সেসব অঞ্চলের বাসিন্দারা বলছেন, এতো প্রবল স্রোত এর আগে কখনোই দেখা যায়নি। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাবার পর পানি ঢুকেছে বাড়িঘরেও। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
আটকে পড়াদের উদ্ধারের পাশাপাশি দুর্গত এলাকায় ত্রাণ দিচ্ছে সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যরা।
সিলেট শহরের একাংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হলেও, বন্যা দুর্গত এলাকায় এখনও বিদ্যুৎ নেই। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে মোবাইল ও ইন্টারনেট যোগাযোগ।
শনিবার (১৮ জুন) রাত থেকে রোববার (১৯ জুন) সকাল পর্যন্ত বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় কিছু জায়গায় পানি কমেছে। তবে সিলেটের নদীগুলোর উজানে পানি বাড়ায় বিকেলে ভাটিতে পানি বাড়ার আশঙ্কা আছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী সোম ও মঙ্গলবার দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল অবস্থা থেকে কিছুটা উন্নতির দিকে যাবে।
সিলেটের বিভিন্ন সড়ক থেকে পানি কিছুটা নেমে গেছে। নিচতলা থেকে পানি সরে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপিত হয়েছে এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে।
ফলে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারছেন চিকিৎসক ও রোগীর স্বজনরা। তবে রোববার ভারী বৃষ্টিপাত হলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, সিলেট সদরের দিকে নদীর পানি কিছুটা কমলেও উজানে পানির উচ্চতা বেড়েছে। এই পানি বিকেল নাগাদ ভাটিতে নেমে আসলে এদিকেও পানি বাড়বে।
রোববার সকাল ৯টায় সিলেট জেলায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১৪৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা গতকালের চেয়ে ৩৫ সেন্টিমিটার বেশি।
তবে সিলেট শহর পয়েন্টে এ নদীর পানি বিপদসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা গতকালের চেয়ে ২৫ সেন্টিমিটার কম।