ঝিনাইদহ পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়াও টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার অরণখোলা ও বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার কাজিরাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদের উপ-নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। আগামী ১৫ জুন এই দুই উপজেলায় নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল।
ঝিনাইদহ পৌরসভার সাধারণ নির্বাচনের ব্যাপারে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ থাকায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। অন্যদিকে, টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আব্দুর রহিমের পক্ষে বক্তব্য প্রদানকারী ব্যক্তি মির্জাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাদেকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে হয়েছে।
রোববার (১২) নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পরবর্তীসময়ে নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ওই সব নির্বাচন স্থগিত থাকবে।
ইসির উপ-সচিব আতিয়ার রহমানের সই করা আদেশে বলা হয়, ১৫ জুন অনুষ্ঠিতব্য টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার অরণখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রহিমের পক্ষে মধুপুর উপজেলাধীন মির্জাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাদিকুল ইসলাম ঘোষণা দেন, ‘টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলাধীন অরণখোলা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে নৌকায় যারা ভোট দিতে নারাজ, দয়া করে কেন্দ্রে আসবেন না। আমরা আশেপাশেই অবস্থান করবো। এখানে ২৪০০ ভোট রয়েছে, যদি দুই হাজার ভোট কাস্ট হয়, আমরা দুই হাজার ভোটই পেতে চাই’। তার এমন বক্তব্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যা ইউনিয়ন পরিষদ (নির্বাচন আচরণ ) বিধিমালা, ২০১৬ স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ এবং দণ্ডবিধি অনুযায়ী অপরাধ। এজন্য মধুপুর উপজেলাধীন মির্জাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাদিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
অন্যদিকে পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ায় বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার কাজিরাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদের উপ-নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে বলে ইসির উপ-সচিব আতিয়ার রহমানের সই করা এক চিঠিতে জানানো হয়।