দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে একজন মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর চেয়ে বড় কিছু হতে পারে না বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এজন্য দলের নেতাকর্মীদের দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তৃতীয় ধাপে ঈদ উপহার হিসেবে ভূমিহীন ও গৃহহীন ৩২ হাজার ৯০৪টি পরিবারকে ঘর হস্তান্তর করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মানুষকে একটি শিক্ষা দিয়ে গেছে যে, ধন-সম্পদ-অর্থ এগুলো কিছুই না। আর মরলে তো সব রেখেই যাবেন। কবরে কিছু নিয়ে যেতে পারবেন না। কাজেই সম্পদের পিছে ছুটে নিজেকে মানুষের কাছে
অসম্মানের জায়গায় রাখার কোনও মানে হয় না। বরং দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে একজন মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর চেয়ে বড় কিছু হতে পারে না। তাই বলছি দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থ, বিত্ত, সম্পদ, টাকা-পয়সা কোনও কাজে লাগে না। করোনার প্রকোপের সময় আমরা দেখেছি, হাজার হাজার কোটি টাকার মালিকেরও কিছু করার ছিল না। যারা বাংলাদেশে
কোনোদিন চিকিৎসাই নেয়নি, তাদের এখানেই ভ্যাকসিন নিতে হয়েছে। এর আগে সর্দি কাশি হলেও তারা উড়ে চলে যেত বিদেশে চিকিৎসার জন্য।
শেখ হাসিনা বলেন, সারাদেশে ৮ লাখের ওপর মানুষ পেয়েছি, যারা ছিন্নমূল। আমরা প্রতিটি মানুষকে ঘরবাড়ি করে দেবো। শুধু খাস জমি নয়, জমি
কিনেও ঘর করে দিচ্ছি বিনামূল্যে। জানি না পৃথিবীর কেউ এই উদ্যোগ নিয়েছে কি না। আমি জাতির পিতার আদর্শের কর্মী, শুধু তার কন্যা নয়। আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের জন্য ঘরবাড়ি নিশ্চিত করবো।
তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে ভালো লাগে ঘর পাওয়া মানুষের মুখের হাসি। জাতির পিতা তো দুঃখী মানুষের মুখেই হাসি ফোটাতে চেয়েছেন। এই
বাংলাদেশ যেন বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে, সে লক্ষ্যে কাজ করছি। উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। যে জাতি রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করে, সে জাতি পিছিয়ে থাকতে পারে না।